এই একটি শব্দ বলে দিচ্ছে অনেক কথা সেইসাথে প্রকাশ পাচ্ছে আবেগ। শব্দগুলি এতটাই বড় বড় অক্ষরে লেখা যে, আকাশ থেকেই সেটা দেখতে পাচ্ছে ভারতীয় সেনার উদ্ধারকারী দল। কেরলের আলুভার কাছে চেনগামানাদ এলাকায়
বন্যার জলে প্লাবিত একটি বাড়িতে শুক্রবার প্রসব যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিলেন বছর ২৫-এর গৃহবধূ সাজিথা জাবলি । পথঘাট সব বানের জলে ভেসে যাওয়ায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া অসম্ভব হয়ে ওঠে, অগত্যা শুধুমাত্র ঈশ্বরকে ডাকা ছাড়া পরিবারের হাতে অন্য কোনও উপায় ছিল না । তবে ঈশ্বর তাঁদের প্রার্থনা শুনেছিলেন, মুহূর্তের মধ্যে প্রবল প্রসব যন্ত্রণায় কাতর সাজিথাকে উদ্ধারের জন্য হেলিকপ্টার নিয়ে সঠিক সময়ে সেখানে একজন চিকিৎসক সহযোগে এসে উপস্থিত হন নৌবাহিনীর কমান্ডার বিজয় বর্মা এবং তাঁর দল ।
চিকিৎসক দ্রুত পরীক্ষা করে জানান সাজিথাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জরুরি , একথা শোনামাত্রই ভারতীয় জাওয়ানরা সাজিথা কে হেলিকপ্টারে করে হাসপাতালে নিয়ে যায় । যাওয়ার ৩০ মিনিটের মধ্যেই একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন সাজিথা। এই ঘটনার পর নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে ট্যুইটারে সাজিথা এবং নবজাতকের ছবি প্রকাশ করে মা ও সন্তানের ভাল থাকার খবর জানান হয় । তবে ভারতীয় নৌবাহিনীর ওপর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে ভোলেনি সাজিথার পরিবার, তাদের বাড়ির ছাদে নৌবাহিনীর জাওয়ানদের জন্য বড় বড় অক্ষরে ‘Thanks’ লেখা হয় যা আকাশপথে নিজেদের কর্তব্যরত জাওয়ানদের চোখে পড়তে বেশি সময় লাগেনি ।
ভারত মা ও তার সন্তানদের প্রতি ভারতীয় জাওয়ানদের কর্তব্য পালন ও তার পরিপেক্ষিতে এইটুকু কৃতজ্ঞতাই যে ভারতীয় জাওয়ানদের মানসিক ভাবে আরও শক্তিশালি করে তুলবে সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না ।