নৃশংস, নারকীয়.. এধরনের ঘটনার খবর লিখতে আজকাল কম পড়ে যায় বিশেষণও। গা শিউরে ওঠা ভয়ানক এমন ঘটনাই ঘটেছে আমেরিকার পেনসিলভিনায় । ১০ মাসের সদ্যজাত সন্তান, ছাড় পেল না সেও । নিজের জন্মদাতা পিতার নারকীয় লালসার শিকার হল সে । শুধু তাই নয়, নিজের একরত্তি মেয়ের সঙ্গে এই কুকীর্তির পর যখন সে যন্ত্রণায় নড়াচড়া একদম বন্ধ করে দেয় তখন অভিযুক্ত বাবা গুগলে সার্চ করে দেখতে থাকে, ‘মেয়ে মরে গিয়েছে কেন বুঝব কিভাবে?’
আন্তর্জাতিক ইংরেজি ট্যাবলয়েডের খবর অনুসারে, নিজের সদ্যজাত মেয়েকেই ধর্ষণে অভিযুক্ত অস্টিন স্টিভেন্স একজন ফুটবল কোচ । গুরুতর এই অভিযোগ পেতেই তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । সেক্সুয়াল অ্যাসল্ট, সদ্যজাত শিশুকে যৌন নিপীড়ণ সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে অস্টিনের নামে ।
পুলিশ জানিয়েছে, অত্যাচারের তীব্রতায় মারাত্মক যন্ত্রণা ও রক্তক্ষরণের কারণে ঘটনার দু’ঘণ্টার মধ্যেই মৃত্যু হয় একরত্তি মেয়েটির । অভিযুক্ত ২৯ বছরের অস্টিনের সার্চ হিস্ট্রি ঘাঁটতেই উঠে এসেছে আরও বিস্ফোরক তথ্য । নিজের মেয়েকে ধর্ষণের পর গুগলে অনেক কিছু সার্চ করেন স্টিভেন । ‘মেয়ে মরে গিয়েছে কেন বুঝব কিভাবে?’ সার্চ ছাড়াও গুগল ইঞ্জিনের অ্যাক্টিভিটি হিস্ট্রি দেখেই অনুমান করা যাচ্ছে স্টিভেন আসলে নিজের কুকীর্তি লুকোতে মেয়েকে একেবারে শেষ করে দেওয়ার পরিকল্পনা কষেন । গুগল ঘেঁটে খুঁজে বের করতে চেয়েছিল প্রমাণ না রেখে শ্বাসরোধের উপায় ।
হাসপাতাল থেকে একটি ফোন পেয়ে ঘটনার তদন্তে নামে মার্কিন পুলিশ । সেখানেই উঠে আসে বিস্ফোরক তথ্য । বাচ্চাটি আসলে তাঁর ঠাকুমা আর দাদুর কাছে থাকত । জলের সমস্যার জন্য বাবার বাড়িতে আনা হয়েছিল । তাই ওইদিন সে বাবার দায়িত্বেই ছিল । ধর্ষণের পর স্থানীয় হাসপাতালে চিকিত্সার জন্য নিয়ে আসা হয়েছিল বাচ্চাটিকে ।
হাসপাতালের চিকিত্সকদের অস্টিন বলে, মেয়ে আচমকা নড়াচড়া বন্ধ করে দিয়েছে তাই আনা হয়েছে । কিন্তু চিকিত্সকেরা পরীক্ষা করতেই আসল ঘটনা বুঝতে পারেন । ১০ মাসের শিশুর উপর এমন নৃশংস যৌন নির্যাতনের ঘটনার সমস্তটাই চিকিত্সকেরাই পুলিশকে জানান । প্রথমে যদিও জেরায় হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করেছে অস্টিন। সে জানিয়েছে, তার শিশুর শ্বাস এমনিই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তবে ময়না তদন্তের রিপোর্টেও মারাত্মক যৌন নির্যাতনের প্রমাণ মিলেছে । পুলিশ জানিয়েছে, ভয়ঙ্কর এই ঘটনা ঘটানোর পর গুগল সার্চের পাশাপাশি অস্টিন সোশ্যাল মিডিয়ায় দুই মহিলার সঙ্গে যৌনতা ভরা চ্যাট চালিয়ে যাচ্ছিল ।