নিউজ ডেস্ক,ত্রিপুরাঃ-
কাশ্মীর উওর ভারতের জম্মুওকাশ্মীর রাজ্যের বিতর্কিত অঞ্চল।আয়তনের দিক থেকে এই কাশ্মীর উপত্যকা পনের হাজার ছয়শ বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে গঠিত, জনসংখ্যা প্রায় চল্লিশ লক্ষ,যার মধ্যে ৯৮ শতাংশই হচ্ছে মুসলিম।হিন্দুদের সংখ্যা কাশ্মীর উপত্যকায় প্রায় শূন্য বললেই চলে,হয়তো এই হিন্দু শূন্যতাই কাশ্মীর সমস্যার মূল কারণ।বর্তমানে কাশ্মীর উপত্যকায় হিন্দুদের সংখ্যা কুড়ি থেকে ত্রিশ হাজারের মধ্যে হবে।১৯০১ সালে কাশ্মীর উপত্যকার মোট জনসংখ্যার প্রায় ৬ শতাংশই ছিল হিন্দু,আর এদের বেশিরভাগই ছিলেন কাশ্মীর পন্ডিত,বেশিরভাগ বললে ভুল হবে প্রায় সব বলা চলে।১৯৪৭ পর্যন্ত এই সংখ্যা বহাল ছিল।কিন্তু ১৯৮০ সানের দিকে কাশ্মীরে হিন্দুদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কার্যকলাপ ও নীপিড়ন শুরু হয়,আর এই কার্যকলাপ ভয়াবহ রূপ নেয় ১৯৮৮ সালের দিকে,১৯৮৮ সাল থেকে হিন্দু নেতা,শিক্ষক,ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন সরকারি কর্মীদের হত্যা শুরু হয়,এইসব ঘটনা আরও ভয়াবহ রূপ নেই ১৯৮৯ সালের শেষের দিকে।তারপর প্রকাশ্যে হিন্দুদের কাশ্মীর উপত্যকা ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য ঘোষণা করা হয়।বলা হয় “হয় চলে যাও না হয় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করো”।১৯৯০ সালের জানুয়ারি মাসের গোঁড়ার দিকে শুরু হয় ব্যাপক অত্যাচার।ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয় হাজার হাজার হিন্দু পণ্ডিতদের।হত্যা করা হয় প্রায় দুই হাজার কাশ্মীর পণ্ডিতকে।১৯শে জানুয়ারি প্রায় এক লক্ষ সত্ত্বর হাজার হিন্দু কাশ্মীর উপত্যকা ছেড়ে জম্মু, দিল্লি ও দেশের অন্যান্য জায়গায় পালিয়ে যায়।এরাই ছিল কাশ্মীরের মূল হিন্দু।বর্তমান কাশ্মীর উপত্যকা প্রায় হিন্দু শূন্য।সবমিলিয়ে হিন্দুদের সংখ্যা কুড়ি থেকে ত্রিশ হাজার হবে।এদের মধ্যে রয়েছে ৫ হাজারের মতো পন্ডিত,জম্মু থেকে আগত কিছু সরকারি কর্মী, ও কিছু সেনার অবসরপ্রাপ্ত অফিসার,তাছাড়া আছে কিছু পাঞ্জাবি হিন্দু।পরিস্থিতি যে দিকে যাচ্ছে তাতে হয়তো আগামী কয়েক বছর পর কাশ্মীর উপত্যকায় কোন হিন্দুকে খুঁজেই পাওয়া যাবে না ।