নিউজ ডেস্ক, কলকাতাঃ- সারা পৃথিবীর মধ্যে ব্রিজ ভাঙ্গায় ভারতবর্ষের পশ্চিমবঙ্গ ১নং র্যাঙ্ক অধিকার করে ফেলেছে , প্রতিসপ্তাহেই মুড়ি মুড়কির মত ভাঙছে একের পর এক ব্রিজ ।
কলকাতা এখনও মাঝেরহাট ব্রিজের ঘা সারাতে পারে নি, তারপর শিলিগুড়ি, গত পরশু রাতে টালিগঞ্জ করুণাময়ী ব্রিজ আর আজ আবার কাকদ্বীপে নির্মীয়মাণ সেতু । একের পর এক ভাঙছে ব্রিজ । যদিও এটা নির্মীয়মাণ, এবং আশেপাশে মাটির নিচে কোন কাজ হচ্ছে না, ফলে বাম আমলের ওপর এর দায় চাপাতে অনেকটাই সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে । কাকদ্বীপে কালনাগিনী নদীর উপর স্টিমারঘাটের কাছে তৈরি হচ্ছিল এই সেতুটি ৷ সোমবার ভোরে হঠাৎই ভেঙে পড়ে নির্মীয়মান এই সেতুটি ।
জানা যায়, নির্মীয়মান এই সেতুটিতে আগেই ফাটল লক্ষ্য করেছিল গ্রামবাসীরা , এব্যাপারে প্রশাসনকেও জানান হয়েছিল কিন্তু প্রশাসনের তরফ থেকে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি বলে দাবি গ্রামবাসীদের । সোমবার সকাল সকাল এই ঘটনা ঘটায় তেমন কোন বড় ক্ষতি হয়নি, হতাহতের কোনও খবর নেই৷ এদিন শ্রমিকরা কাজে যোগ দেওয়ার আগেই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে সেতুটি৷ ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে এসে সন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা অবশ্য সমস্ত দায় নির্মাণকারী সংস্থার ওপরই চাপিয়েছেন । মন্টুরাম পাখিরা বলেন, ‘‘নির্মাণকারী সংস্থা এলএনটি(L&T) পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়রদের সঙ্গে পরামর্শ না করেই গার্ডারের কাজ করেছে৷ ফলে ভেঙে পড়েছে সেতুটি৷’’ অপরদিকে নবান্নের তরফে শিক্ষামন্ত্রী জানান মুখ্যমন্ত্রী দেশে ফিরলে এবিষয়ে টেকনিক্যাল এক্সপার্টদের সঙ্গে কথা বলা হবে এবং সেতু নির্মাণে বরাত পাওয়া সংস্থা আদৌ সে কাজে যোগ্য কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে ।
এই বিষয় নিয়ে অবশ্য নানা প্রান্ত থেকে নানা মত ইতিমধ্যেই সমালোচকরা সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করতে শুরু করেছে । কেও কেও আবার কটাক্ষ করে বলছে পশ্চিমবঙ্গে নাকি নতুন প্রকল্প চালু হয়েছে, নাম “সেতুশ্রী”, কেও আবার বলছে “ভাঙশ্রী”। কিন্তু সেইসাথে এই প্রশ্নও ছুড়ে দেওয়া হয়েছে যে, এই নির্মীয়মাণ সেতুটির আশেপাশে মাটির নিচে কোন কাজও হচ্ছে না, তারসাথে সেতুটি বাম আমলেও তৈরি নয়, তাহলে কি ভাবে ভাঙল এই সেতু ?? যদি দুর্ঘটনাটি ভোর বেলায় না হয়ে দিনের বেলায় হত, তাহলে কি হত ?? এই দুর্ঘটনায় যদি আবার কোন প্রান যেত, তবে কার ওপর দোষ চাপাত পশ্চিমবঙ্গ সরকার ??