নিউজ ডেস্ক নয়াদিল্লীঃ-
নিয়ে এসেছে। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, পাকিস্তানের রাজধানী করাচি সহ বাকি শহর গুলির মধ্যে হাহাকার সৃষ্টি হয়েছে। এর কারণ হিসেবে সামনে এসেছে, পাকিস্তানের মুসলমানদের নাকি অজ্ঞাত সারেই শুয়োরের মাংস খাইয়ে দেওয়া হয়েছে। খবর ছড়িয়ে পরে যে, প্রিয় বন্ধু চীন নাকি পাকিস্তানি মুসলিমদের শুয়রের মাংস খাইয়ে দিয়েছে। আসলে পাকিস্তানে চীন এখন ব্যাপক ভাবে নিজেদের ব্যাবসার প্রসার শুরু করেছে। চিন পাকিস্তানের প্রতিটি শহরে নিজেরদের রেস্তুরা খুলেছে, সেখানে আসা পাকিস্তানিদের নানা রকম চাইনিজ খাবার সরবরাহ করা হয়।
সম্প্রতি জানা গেছে যে চীনের ওই সমস্থ রেস্টুরেন্টে খাবারের সাথে শুয়োরের মাংস মেশানো থাকতো। ইসলামের রীতি অনুযায়ী শুয়ারের মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ। শুয়োরের মাংস ভক্ষণ থেকে নিজেদের বিরত রাখার জন্য কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়ে থাকে। কথিত আছে যে মুসলমানরা যদি শুয়োরের মাংসকে বর্জন করতে না পারে তবে তারা জান্নাত লাভ করতে পারবে না।
শুয়োরের মাংস না খাওয়াটা মুসলমানদের ধার্মিক আস্থার সাথে অঙ্গাঅঙ্গি ভাবে জড়িত। কেবল পাকিস্তানের মুসলমানরাই না, বিশ্বের কোনো জায়গার মুসলমানরাই শুয়োরের মাংস খায় না। কিন্তু চীন সমস্থ কিছু জেনেশুনেও পাকিস্তানিদের বড়রকমের ধোঁকা দিয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানীদের মধ্যে তিব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে এবং ঘটনার উপর তিব্র ক্ষোভ প্রকাশ করতে শুরু করেছে বলে জানা গেছে। পাক সরকার মিডিয়াকে এই ঘটনা প্রকাশ করতে বারন করেছে, কিন্তু বন্ধুর এই ধোঁকাবাজির খবর কোনোভাবেই লুকিয়ে রাখতে পারছে না পাকিস্তান।
অবশ্য এই ইস্যুতে চীনের উপর বিশেষ কোনো চাপ সৃষ্টি করতে পারেনি পাকিস্তান। কারণ পাকিস্তান এখন চীনের উপর পুরোপুরি নির্ভরশীল, এছাড়াও কূটনৈতিক মার প্যাঁচ রয়েছেই। ইমরান সরকার বিশেষ কোন পদক্ষেপ নিতে না পারলেও সংশ্লিষ্ট রেস্তুরা গুলির বিরুদ্ধে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করছে।চীন পাকিস্তানের মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের ধার্মিক আস্থা নিয়ে রীতিমত খেলা করেছে, তাই চীনের উপর কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হউক এমনই চাইছে পাকিস্তানের মুসলিম ধর্মাবলম্বী সহ গোটা পাকিস্তানবাসী।
তবে এটাই প্রথম নয়, এর আগেও চীন নিজেদের দেশে থাকা মুসলিমদের উপর দমন পীড়ন চালিয়েছিল। তাদের দেশে থাকা মুসলিমদের জোর করে শুয়োরের মাংস খাওয়ানোর পাশাপাশি তাদের থেকে কোরানও ছিনিয়ে নিয়েছিল। এখানেই শেষ নয়, চীনের কমিউনিস্ট সরকার মসজিদে ইসলামিক পতাকা খুলে দেশীয় পতাকা লাগিয়ে দিয়েছিল। যদিও এ নিয়ে তখন কোন বুদ্ধিজীবি মহল অসহিষ্ণুতা দেখতে পায়নি।