নিউজ ডেস্ক, তুষার বিশ্বাস, ইসলামপুরঃ- শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে উত্তাল, ইসলামপুর দ্বারিভিটা উচ্চ বিদ্যালয় , সংঘর্ষ ছাত্র ও পুলিশের মধ্যে, পুলিশের গুলিতে মৃত্যু রাজেশ সরকার ও তাপস বর্মণ নামে দুই ছাত্রের .
ইসলামপুর ব্লকের দ্বারিভিটা উচ্চ বিদ্যালয়ে উর্দু মাধ্যমের কোনও ছাত্রছাত্রী না থাকলেও সম্প্রতি বিদ্যালয়ে তিনজন উর্দু মাধ্যমের শিক্ষককে নিয়োগ করা হয়। অথচ বিদ্যালয়ে প্রয়োজন বাংলা মাধ্যমের শিক্ষকের। স্কুল লাগোয়া রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় পড়ুয়ারা। ঘটনাস্থলে ছুটে আসে ইসলামপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী।ছাত্রছাত্রীদের দাবি এর আগে পথ অবরোধ আন্দোলনে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তাদের আশ্বাস দিয়েছিলেন উর্দু শিক্ষক বিদ্যালয়ে আনা হবেনা। অথচ আজ ওই উর্দু শিক্ষকদের কাজে যোগ দেওয়াতে বিদ্যালয়ে আনতে চেষ্টা করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ছাত্রছাত্রীরা জানিয়ে দিয়েছে তারা কিছুতেই বিদ্যালয়ে নিস্প্রয়োজন উর্দু শিক্ষকদের কাজে যোগ দিতে দেবেনা। তাদের যুক্তি দ্বারিভিটা বিদ্যালয়ে কোনও উর্দু মাধ্যম বা বিষয়ের ছাত্রছাত্রীই নেই। ছাত্রছাত্রীদের এই আন্দোলনকে বন্ধ করতে পুলিশ নির্মম ভাবে আন্দোলনরত ছাত্র ছাত্রীদের ওপর লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাসের শেল এমনকি বুলেটও চালায় , আর তাতেই মৃত্যু হয় রাজেশ সরকার নামে এক ছাত্রের সেইসাথে আহত হয়েছেন আরও ৯/১০ জন ছাত্র ছাত্রী। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকালে মারা গেল তাপস বর্মণ নামে আরও এক ছাত্র । দুই ছাত্রের মৃত্যুতে উতপ্ত ইসলামপুর ।
পশ্চিমবঙ্গ আক্ষরিক অর্থেই পাকিস্তানে পরিণত হয়ে গেছে, যেখানে মাতৃভাষার জন্য আন্দোলন করতে গিয়ে শহীদ হতে হল এক ছাত্রকে। এ যেন বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলনের পুনরাবৃত্তি, তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের উপর জোরপূর্বক উর্দু ভাষা চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল পাকিস্তান সরকার । যার প্রতিবাদে হাজার হাজার বাঙালি আন্দোলনে নামেন ।
আজ পশ্চিমবাংলায় ঠিক একই চিত্র দেখা গেল, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বৈরাচারীতা ও তোষন নীতি বাঙালির মাতৃভাষাকেই আক্রমণ করল এইবার । উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুরের দ্বারিভিটা উচ্চ বিদ্যালয় চত্বরে মাতৃভাষা বাংলার জন্য আন্দোলন করতে গিয়ে শহীদ হলেন এক ছাত্র, আহত হয়েছেন আরও ৯/১০ জন ছাত্র ছাত্রী। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকালে মারা গেল তাপস বর্মণ নামে আরও এক ছাত্র তাদের অপরাধ একটাই যে তারা মাতৃভাষা বাংলার পরিবর্তে উর্দু কে গ্রহণ করতে চায়নি। যার জন্য তৃণমূল সরকারের প্রশাসনের নির্মম অত্যাচারের শিকার হতে হল রাজেশ সরকার নামে ওই ছাত্রের ।
তবে কি তৃণমূল সরকারের মন্ত্রী ফিরহাদ(ববি) হাকিমের কথা অক্ষরে অক্ষরে সত্যি করতে এই পদক্ষেপ নিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস দল?