বিশ্বভারতীর সমাবর্তনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভাষণ শুরু করলেন বাংলাতে ৷ বাংলাতেই সকলকে ‘শুভসকাল’ ও ‘প্রণাম’ জানিয়ে শুরু করেলন ভাষণ৷ একই সঙ্গে বললেন, ‘‘কবিগুরুর শান্তিনিকেতনে এসে অত্যন্ত আনন্দ অনুভব করছি৷’’
একই সঙ্গে আচার্য হিসেবে বিশ্বভারতীর সমাবর্তনে উপস্থিত থাকতে পেরে প্রধানমন্ত্রী যে গর্বিত, তাও এদিন তিনি নিজের ভাষণে স্পষ্ট করেছেন৷ জানিয়েছেন, মন্দিরে গেলে মানুষের মধ্যে যে অনুভূতি হয়৷ শান্তিনিকেতনে পৌঁছে ঠিক সেই রকম অনুভূতি হচ্ছে কারণ, শান্তিনিকেতনে এসে তাঁর মনে হচ্ছে, এখানেই গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজের সাহিত্য রচনা করেছিলেন৷ নিজের অমর কীর্তি সৃষ্টি করেছেন৷
গোটা বিশ্বে এত জনপ্রিয়তা সত্ত্বেও যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যে নিজের ভারতীয়ত্ব ভোলেননি, সে কথাও এদিন উল্লেখ করেছেন বিশ্বভারতীর আচার্য৷ নরেন্দ্র মোদীর দাবি, কবিগুরু নিজে তো এই নীতিতে চলতেন৷ একই সঙ্গে বিদেশে পড়তে যাওয়া জামাইকেও চিঠি লিখে সেকথা রবি ঠাকুর মনে করিয়ে দিয়েছিলেন বলে মোদীর দাবি৷ গোটা বিশ্বে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে যেভাবে সম্মান করা হয়, সেকথাও উঠে এসেছে মোদীর ভাষণে৷