উত্তরপ্রদেশের হাথরসের নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াংকা গান্ধী। জানা গিয়েছে, আজ, বৃহস্পতিবার দিল্লি থেকে রওনাও দিয়েছেন দুই নেতা। হাথরসে গিয়ে নির্যাতিতার পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দিতেই এই সফর।
এদিকে, রাহুল ও প্রিয়াংকা গান্ধীর হাথরস যাওয়া আটকাতে সব সীমানা সিল করেছেন যোগী আদিত্যনাথ। তৈরি থাকতে বলেছেন পুলিশকে। কোনও অবস্থাতেই কারো সঙ্গে নির্যাতিতার পরিবারকে দেখা করতে না দেওয়ার কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন ওই যোগী।
হাথরসে গণধর্ষণকাণ্ডের পরই দেশ জুড়ে বিক্ষোভ- মিছিল চলছে। এর পর রাহুল-প্রিয়াংকা ওই গ্রামে পৌঁছে গেলে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হবে। কার্য এই ভয়েই রাজ্যের সীমানায় সিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যোগী প্রশাসন। হাথরস থেকে ১৫০ কিমি পর্যন্ত সংবাদমাধ্যমও যাতে প্রবেশ না করতে পারে তার জন্য ১৪৪ ধারাও জারি করা হয়েছে গ্রামে।
প্রসঙ্গত, গণধর্ষণ ও নৃশংস অত্যাচারের পর সংকটজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ওই তরুণী। টানা ২ সপ্তাহ মৃত্যুর সঙ্গে তীব্র পাঞ্জা লড়ার পর অবশেষে হার মানেন তিনি। গত মঙ্গলবার সকালে দিল্লির হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। উত্তরপ্রদেশের হাথরাসে নিজের গ্রামেই গণধর্ষিতা হয়েছিলেন ২০ বছরের তরুণী। পাশাপাশি তাঁর উপর চলেছিল নৃশংস অত্যাচার। শরীরে বেশ কয়েকটি হাড় ভাঙা অবস্থায় এবং জিভ কাটা অবস্থায় তাঁকে সে রাজ্যেরই একটি হাসপাতালের আইসিউ-তে ভর্তি করা হয়েছিল। অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক হওয়ায় সোমবার রাতে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল দিল্লির হাসপাতালে। মঙ্গলবার সকালেই তাঁর মৃত্যু হয়।