নিউটাউনের তারুলিয়া এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে প্রতারণার ব্যবসা ফেঁদে বসেছিল কয়েকজন যুবক। মোবাইল টাওয়ার বসানোর নাম করে প্রতারণা করা হতো বিভিন্ন ব্যক্তিকে। এই ঘটনায় ওই অফিসে হানা দিয়ে চার জনকে গ্রেফতার করেছে নিউটাউন থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, তারুলিয়ার যে বাড়িতে এই অফিস ছিল প্রতিদিনই প্রচুর লোকের যাতায়াত লেগে থাকত সেখানে। স্থানীয়দের সন্দেহ হওয়ায় তাঁরাই খবর দেন পুলিশ। বেশ কিছু নজরদারি চালিয়ে সকলের কার্যকলাপ বেশ সন্দেহজনক লাগে পুলিশ কর্মীদেরও। এর পরই ওই অফিসে হানা দেয় নিউটাউন থানার পুলিশ। দেখা যায় ওই বাড়িতে কল সেন্টার খুলে বসেছে বেশ কিছু যুবক। তাদের মধ্যে দু’জন অসমের বাসিন্দা। এই অফিসে কী কাজ হয় সেই ব্যাপারে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করলে সঠিক কোনও জবাব দিতে পারেনি ওই যুবকরা। এর পর চার জনকে আটক করে নিউটাউন থানায় নিয়ে আসা হয়। পুলিশের দাবি, ম্যারাথন জেরায় যুবকরা জানায় যে ওই অফিসে বসে বিভিন্ন লোককে ফোন করে মোবাইলের টাওয়ার বসানোর প্রস্তাব দেওয়া হতো। বলা হতো টাওয়ার বসলে দু’জন চাকরি পাবেন। তাঁরা মাসে ভাল মাইনে তো পাবেই। সেই সঙ্গে টাওয়ারের ভাড়া হিসেবে মোটা অঙ্কের টাকাও দেওয়া হবে। এর পর পার্টি রাজি হয়ে গেছে তাদের থেকে জমির কাগজপত্র নিত এই যুবকরা। এবং বিশ্বাস অর্জনের জন্য ভারত সরকারের টেলিকম বিভাগের একটি ভুয়ো অনুমতিপত্রও পাঠাত প্রতারকরা। তারপর বলা হতো রেজিস্ট্রেশনের জন্য একটা মোটা অঙ্কের টাকা দিতে হবে। কিন্তু এই টাকা দেওয়ার পর আর কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করা যেত না। টাওয়ার বসা তো অনেক দূরের কথা, টিকিও পাওয়া যেত না কারও। এবার তারুলিয়ার ওই অফিসে হানা দিয়ে মোবাইল, ল্যান্ড ফোন এবং বেশ কিছু ভুয়ো নথি উদ্ধার করেছে পুলিশ। তারা জানিয়েছে, ধৃতদের নাম সন্দীপ বর, জাহানুর হক, শিবু সরকার এবং মিন্টু কুমার নাথ।