নিউজ ডেস্ক নয়াদিল্লী ঃ-
আজ সেটাই ঘটে গেল যে ভয়ে কাশ্মীর ছেড়ে ছিলাম। সেই সময়ও বালকরা সুরক্ষিত ছিল না এবং সেনার জওয়ানরাও সুরক্ষিত ছিল না। আমরা তখনই শান্তি পাব যখন জঙ্গিরা জবাব পাবে৷শহিদ মেজর বিভুতির স্ত্রী নিকিতার মাসি গিরিজা বারিকোর মনে আজও কাশ্মীর ছাড়ার ব্যাথা কষ্ট দেয়৷ নিকিতার পরিবার নব্বই এর দশকে জঙ্গিদের থেকে বিরক্ত হয়ে কাশ্মীর ছাড়ে৷ কাশ্মীরের পণ্ডিত পরিবারের মেয়ে নিকিতা। নিকিতাদের পরিবার ১৯৯০ সালে কাশ্মীর ছাড়ে এবং জঙ্গি কার্যকলাপ থেকে বিরক্ত হয়ে তারা এই সিদ্ধান্ত নেয়৷ ফরিদাবাদে এখন তার পরিবার থাকে৷ তার মাসি জানায় তারা যখন কাশ্মীরে থাকত সেই সময় জঙ্গিরা তাদের খুব বিরক্ত করত৷ কাশ্মীরে যে কোনও বাড়ির সন্তান কে মেরে ফেলত তারা৷ তার পরিবার কাশ্মীর ছাড়ে কাশ্মীরের রক্তাক্ত হয়ে ওঠার কারনে। নিজেদের মাতৃভুমি ছাড়ার যন্ত্রনা এই পরিবারের প্রতিটা সদস্যের মনে ছিল এবং পরিবারের সব সদস্য সুরক্ষিত থাকতে পারবে ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ছিল নিকিতার পরিবার। ফরিদাবাদে আসার পর নিকিতার বিয়ে হয়৷ কিন্তু নিকিতার বিয়ের ১ বছর পর তার স্বামী মেজর বিভুতি কে শহিদ হতে হল৷ তার পরিবার বলছেন যে কারনের জন্য সেই সময় তাদের পরিবার বাড়ি ছাড়তে হল সেই ঘটনা ঘটল৷ তাদের পরিবারের ১ জন জঙ্গিদের হাতে শহিদ হল৷ তার মাসি এই ঘটনায় দুঃখের সহিত বলেন জঙ্গিদের ২ জন নিহত হলে ৫ জন ভারতীয় জওয়ান শহীদ হয়৷ নিকিতার পরিবারের সদস্যরা প্রশ্ন তোলেন কতদিন এই একই পরিস্থিতি থাকবে? দেশে যারা আতঙ্ক ছড়ায় তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্তা নেওয়ার উচিত এই কথা তোলেন পরিবারের সদস্যরা৷ তার মাসি বলেন আমাদের ১ শহিদের বলিদানের পরিবর্তে একশো জঙ্গির মৃতদেহ চাই।