সম্প্রতি টেক্সাসের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে এই রোগে। আতঙ্কের বিষয়, রোগ নিরাময়ে এখনও পর্যন্ত কোনও ভ্যাকসিন বা ওষুধেরও আবিষ্কার হয়নি। গবেষকরা জানাচ্ছেন, এটি একটি ব্রেন-ইটিং অ্যামিবা। এই রোগে মৃত্যুর হার ৯৭ শতাংশের বেশি। বিজ্ঞানসম্মত নাম ন্যাগ্লেরিয়া ফাওলেরি। এই ব্যাকটেরিয়া শরীরে প্রবেশ করে আমাদের মাথার কলা ও কোষগুলিকে ধীরে ধীরে নষ্ট করে দেয়।
৮ সেপ্টেম্বর শিশুর মৃত্যুর পর থেকেই নড়েচড়ে বসেছে টেক্সাসের সরকার। এই ব্যাধি নিয়ে সচেতনতা প্রচারও শুরু হয়েছে। সংক্রমণের সন্ধান করতে গিয়ে দেখা গেছে, জল থেকেই আক্রান্ত হয়েছিল ওই শিশু। বাগানের একটি জলের ট্যাপে পাওয়া গেছে এই মারণ অ্যামিবার সন্ধান। কিন্তু কী এই রোগ ? আসুন জেনে নেওয়া যাক।
এই মারণ ব্যাকটেরিয়ার উপসর্গগুলি কী কী:
এই ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত হলে প্রথমের দিকে অর্থাত্ আক্রান্ত হওয়ার প্রথম সপ্তাহে সাধারণত মাথাব্যথা, জ্বর, সর্দি-কাশি, বমি-বমি ভাব, ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া এই ধরনের উপসর্গ দেখা যায়। এর পর ধীরে ধীরে শরীরের ভারসাম্য হারানো, চোখ ধাঁধিয়ে যাওয়া এই রকম নানা সমস্যা শুরু হয়। চিকিত্সকরা জানাচ্ছেন এই ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত হলে ১২ দিনের মধ্যেই মৃত্যু হয় আক্রান্তের।
এই ব্যাকটেরিয়া কি ছড়াতে পারে?
গবেষকরা জানাচ্ছেন, ন্যাগ্লেরিয়া ফাওলেরি সে ভাবে সংক্রমিত হতে পারে না। এটি মানুষ থেকে অন্য মানুষে ছড়াতে পারে না। এই অ্যামিবা সাধারণত জলাশয় যেমন নদী, লেক, কোনও বদ্ধ জলাশয় যেমন সুইমিং পুল, ফোয়ারা, দীর্ঘ দিনের সঞ্চিত জলাধারে দেখা যায়। তবে লবণাক্ত জলে অর্থাত্ সমুদ্রে এদের দেখা যায় না।
এই রোগে মৃত্যুর হার কী?
গবেষকরা জানাচ্ছেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে আক্রান্তদের মৃত্যু হয়েছে। এই রোগে মৃত্যুর হার ৯৭ শতাংশের বেশি। এ ক্ষেত্রে ১৯৬২ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ১৪৫ জন আক্রান্তের মধ্যে দেখা গিয়েছে যে মাত্র চারজন সুস্থ হয়েছেন।