নিউজ ডেস্ক, নিউ দিল্লিঃ – ভারতের প্রথম বায়োফুয়েল চালিত বিমান, যেটি ব্যয়বহুল এভিয়েশন টারবাইন জ্বালানি প্রতিস্থাপন করে বিমান ভ্রমণের খরচ কমানোর লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে প্রথম যাত্রা শুরু করেছিল, সেটি সফলভাবে পরীক্ষায় পাশ করল । বায়োজেট জ্বালানি দ্বারা চালিত একটি 72-সিটার স্পাইসজেট বিমান, আজ পরিক্ষামুলক ভাবে দেরাদুন থেকে নেমে দিল্লি বিমানবন্দরে অবতরণ করে ।
পুনর্নবীকরণযোগ্য জৈববস্তুপুঞ্জ যেমন কৃষি অবশিষ্টাংশ, অভোজ্য তৈল এবং শিল্প ও পৌর বর্জ্যের জৈব-অকার্যকর ভগ্নাংশ থেকে তৈরি করা হয়েছে এই বায়োজেট জ্বালানি , বলে জানান স্পাইসজেট কর্তৃপক্ষ । বায়োজেট জ্বালানি নির্ভর বিমান ভ্রমণ ক্লিনার এবং আরও কার্যকরী হয়ে উঠতে পারে, এইভাবে এভিয়েশনের টারবাইন জ্বালানির উপর নির্ভরতা কমিয়ে এয়ারক্রাফট অপারেশনের খরচ কমানো সম্ভব বলেও জানায় স্পাইসজেট কর্তৃপক্ষ । আজ এই ট্রায়াল রানের জন্য ফ্লাইটের জৈব জ্বালানির ব্যবস্থা, দেরাদুনের সিএসআইআর-ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব পেট্রোলিয়াম দ্বারা বিকাশ লাভ করে, বিমানবাহিনীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও বহু পরীক্ষা নিরিক্ষা করা হয়।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী, সুরেশপ্রভু , ধার্মেন্দ্র প্রধান, ডঃ হর্ষবর্ধন এবং জয়ন্ত সিনহার উপস্থিতিতে দিল্লি বিমানবন্দরে বিমানটি অবতরণ করে। স্পাইসজেট এর জৈব জ্বালানি হচ্ছে জাটরোফা প্ল্যান্ট এবং এভিয়েশন টারবাইন জ্বালানির বীজ থেকে বের করা তেলের মিশ্রণ। ছত্তিশগড়ের পাঁচশো কৃষক পরিবার আজকের এই ইতিহাস সৃষ্টিকারি বিমান পরিষেবার বায়োফুয়েল উৎপাদনের জড়িত। অসামরিক বিমান চলাচলমন্ত্রী সুরেশপ্রভু বলেন এখনকার সময়ে বিমানের জ্বালানি দাম এয়ারলাইনের কাছে প্রচণ্ড আর্থিক চাপ সৃষ্টি করেছে, কেন্দ্রীয় সরকার ২০৩৫ সালের মধ্যে একটি পরিবেশ বান্ধব এভিয়েশন অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করবে, । “আমরা দেশে বায়োফুল ব্যবহার বৃদ্ধি করতে চাই যাতে গ্রীন হাউস গ্যাস নির্গমন ও পেট্রোলিয়ামের আমদানি হ্রাস হয়। আমরা নিশ্চিত যে আগামী দিনে আরও বেশি উড়োজাহাজগুলি জৈব জ্বালানি ব্যবহার শুরু করবে ।