নিউজ ডেস্ক, নয়া দিল্লীঃ-
দেশে কি তবে আচ্ছে দিন শুরু হয়েছে? নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরেই কি পরিবর্তন শুরু হয়েছে? তবে উত্তর অবশ্যই হ্যাঁ। ভারতকে পুনরায় জগত সভায় শ্রেষ্ঠ আসনে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য মোদী সরকার কাজ করে চলেছে।স্বাধীনতার পর থেকে কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে দেশকে বিকাশের পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া তো দূরের কথা উল্টে দেশের মধ্যে দূর্নীতি, স্বজন পোষণকে প্রশ্রয় দিয়ে গেছে। কিন্তু নরেন্দ্র মোদীর মাত্র সাড়ে সাড়ে চার বছরের শাসনকালে ভারত নতুন করে জগত সভায় শ্রেষ্ঠ আসনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যার প্রমান এখন হাতে নাতে পাওয়া যাচ্ছে। ইকোনোমিক টাইমস অনুযায়ী, বৈদেশিক বিনিয়োগের দিক থেকে ভারত শীর্ষ স্থান দখল করেছে তথা ভারতে বিদেশি বিনিয়োগ সবথেকে বেশি হয়েছে। চীনের ও আমেরিকার মতো মহাশক্তিশালী দেশকে পেছনে ফেলে এক্ষেত্রে ভারত প্রথম স্থানে রয়েছে। চীন, জাপান, আমেরিকা কোনো দেশই বিদেশী বিনিয়োগ টানার ক্ষেত্রে ভারতের ধারেকাছেও আসতে পারেনি। ভারতের ইকোনোমির সাথে তাল মিলিয়ে বিদেশী বিনিয়োগ অর্থাৎ ফরেন ডিরেক্ট ইনভেসমেণ্ট দারুন ভাবে এগিয়ে চলেছে।
২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিদেশী বিনিয়োগ টানার জন্য কেন্দ্রিয় সরকার বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এমনকি প্রধানমন্ত্রী নিজে বিদেশ যাত্রায় গিয়ে ভারতে বিনিয়োগ করার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়ে এসেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছিলেন, আমি মনে করি বিশ্বে এখন অর্থের অভাব নেই। কিন্তু অর্থ কোথায় বিনিয়োগ করা হবে সেই নিয়ে যারা চিন্তিত তাদের আমি ভারতে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।ডিজিটাল ইন্ডিয়া, মেক ইন ইন্ডিয়ার মতো সিদ্ধান্তের নীতি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছিল যা বিদেশি বিনিয়োগকে আকর্ষণ করতে সক্ষম ছিল। বিনিয়োগকারীদের জন্য সরকারের নীতি অত্যন্ত খোলাখুলি ছিল। যাতে করে যে কেউই দেশের বিকাশের অংশীদার হতে পারে। ভারতে পনের লক্ষ কোটি টাকার বিদেশী বিনিয়োগ এসেছে শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিদেশ যাত্রার উপর ভিত্তি করেই।গত দুই দশকে এই প্রথমবার ভারত চীনকে টপকে বিদেশী বিনিয়োগএ প্রথম স্থানে এসেছে।২০১৯ এর রিপোর্ট অনুযায়ী ভারত সরকার বিদেশী বিনিয়োগকারীদের জন্য আরো কিছু বিশেষ নীতির উপর কাজ করছে। সরকার বিদেশী বিনিয়োগকে কাজে লাগিয়ে দেশের যুবকদের জন্য কর্মসংস্থান গড়ে তুলে উপর লাগাতর কাজ চলছে।