মঙ্গলবার বিকেল ৪টে ২০ মিনিট নাগাদ আচমকা ভেঙে পড়ল দীর্ঘদিনের পুরনো মাঝেরহাট উড়ালপুল একেবারে মাঝের অংশ। ব্রিজের উপর দিয়ে এবং নিচ দিয়ে সেইসময় যাচ্ছিল গাড়ি-বাস। তাই বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দক্ষিণ কলকাতার সঙ্গে উত্তর কলকাতার যোগাযোগের এই মেরুদণ্ড হল মাঝেরহাট ব্রিজ। কর্মব্যস্ত দিনে স্বাভাবিকভাবেই ব্রিজের উপর দিয়ে এবং নিচ দিয়ে গাড়ি চলাচল করছিল। তাই এই দুর্ঘটনায় বিপুল পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাননাশের আশঙ্কা করা হচ্ছে।। তাছাড়াও এই ব্রিজের নীচেই রয়েছে বজবজ শাখার ট্রেন লাইন। ঘটনার পরেই শিয়ালদহ ডিভিশনের ওই লাইনে সমস্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে ব্রিজের পাশেই রয়েছে মাঝেরহাট স্টেশন। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌছছেন রেলের আধিকারিকরা। শুরু হয়েছে উদ্ধার কাজ।
কিন্তু কী কারণে ভেঙে পড়ল উড়ালপুল ? তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত নবান্নের পক্ষ থেকে কোন উত্তর পাওয়া যায় নি ৷ তবে, ক্রমশই স্পষ্ট হচ্ছে, পূর্তদফতরের গাফিলতির বিষয়টি৷ কারণ, পোস্তা উড়ালপুল ভেঙে পড়ার পড়ই শহরের বিভিন্ন উড়ালপুল রক্ষণাবেক্ষণেরদা দায়িত্ব ছিল PWD বা পূর্ত দফতরের ওপর । ৪০ বছরের প্রাচীণ উড়ালপুলটির পরীক্ষা কয়েকদিন আগেই পূর্ত দফতর করেছে, এবং ‘ফিট’ সার্টিফিকেটও দিয়েছে৷ কিন্তু সেই ‘ফিট’সার্টিফিকেট পাওয়া ব্রিজই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল৷ তাহলে কিভাবে এই ভগ্ন উড়ালপুলটি দেখে পূর্ত দপ্তর ফিট সার্টিফিকেট দিল, সেটা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন ! এখনও পর্যন্ত এই বিষয় নিয়ে পুর্ত দফতর বা নবান্নের তরফে মুখ খোলা হয়নি৷
ইতিমধ্যে পাওয়া খবর অনুসারে, এখনও পর্যন্ত মাঝেরহাট উড়াপুল বিপর্যয়ে ৫ জনের মৃত্যুর খবর, গুরুতর আহত ৯৷ কর্মব্যস্ত দিনে এই ব্রিজ দিয়ে বহু গাড়ি চলাচল করছিল। সেখানে একাধিক গাড়ি আটকে থাকতে পারে বলে জানা আশঙ্কা করা হচ্ছে সেই সাথে মৃতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে ।