নিউজ ডেস্ক, নিউ দিল্লীঃ- পশ্চিমবঙ্গে রোহিঙ্গাদের উপস্থিতির মান্যতা দিল বিএসএফ।
দিল্লিতে আয়োজিত দুই প্রতিবেশী দেশের (ভারত ও বাংলাদেশ) সীমান্ত সমস্যা নিয়ে বৈঠকে বসেছিল বিএসএফ ও বিজিবি । সেখানেই বৈঠকের শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে বিএসএফের ডিরেক্টর জেনারেল কে কে শর্মা রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন , তিনি জানান সীমান্ত পেরিয়ে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ তুলনায় কমলেও বঙ্গের সীমান্ত এলাকায় রোহিঙ্গাদের জন্য একাধিক শিবির করে দেওয়া হয়েছে সেইসাথে পশ্চিমবঙ্গ সরকারও রোহিঙ্গা মুসলিমদের প্রতি ‘বন্ধুত্বপূর্ণ’ মনোভাব প্রসূন করছে বলে জানান তিনি । বিএসএফের ডিজি আরও বলেন এখনও পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ৭০টি রোহিঙ্গা পরিবার আশ্রয় নিয়েছে বলে তদন্তে জানতে পেরেছে বিএসএফ, শুধু তাই নয় রোহিঙ্গাদের একাংশের সঙ্গে যোগ আছে জঙ্গি সংগঠনের বলেও অভিযোগ করেন তিনি । তবে বিএসএফ সর্বদাই রোহিঙ্গাদের গতবিধির উপর কড়া নজর রাখছে বলেও জানান তিনি ।
প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গের বারুইপুরের কুরুলিতে বাংলাদেশ বর্ডার পেরিয়ে মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশের মংদো জেলার রোহিঙ্গারা ঢুকছে , সেই তথ্য আগেই এসেছিল । জানা গিয়েছিল, রোহিঙ্গারা রাতের অন্ধকারে রাফ নদী পেরিয়ে বাংলাদেশে এসে সেখানকার রিফিউজি ক্যাম্প এ ছিল, সেখান থেকে বনগাঁ সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করে বারুইপুরের কুরুলি গ্রামে গিয়ে ওঠে , সেখানে দেশ বাঁচাও সামাজিক কমিটি নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা তাদের মাথা গোঁজার ঠাই দেয়, সেই ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ সরকার সস্তা ভোটের রাজনীতি করতে, ও সংখ্যালঘু ভোটব্যাংক বাড়াতে, অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের যথাযথ সাহায্য করেছে বলেও অভিযোগ উঠেছিল বিভিন্ন মহল থেকে ।
এর এক বছরের মাথায় বিএসএফের ডিরেক্টর জেনারেলের এই মন্তব্য যে, সেইসময়কার বিরোধীদের করা সমস্ত অভিযোগ যে একবারেই মিথ্যে ছিলনা , সেটা অক্ষরে অক্ষরে প্রমান হয়ে গেল । সেইসাথে বিশেষজ্ঞ মহল থেকে প্রশ্ন উঠে এল, অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকার যে সংখ্যালঘু ভোটব্যাংক বাড়ানোর জন্য সস্তা ভোটের রাজনীতি করছে , তা ভারতের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে যে কতটা ক্ষতিকারক সেনিয়ে কি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আদৌ কোন মাথাব্যাথা আছে ?