বাংলাদেশের সাথে সীমান্ত সবথেকে বেশি ভাগ করেছে বাংলা , তাই যদি আসামের মত বাংলাতেও এন.আর.সি হয় তবে কত মানুষ ঘর ছাড়া হবে টা নিয়ে বাঙালির জল্পনা কল্পনা শুরু হয়ে গেছে পাড়ার চায়ের দোকান থেকে শুরু করে পার্ক , বাজার থেকে শুরু করে ক্লাবের আড্ডায় । যদি আসামের মত ছোট রাজ্যে ৪০ লাখ নাম বাদ পড়তে পাড়ে তবে বাংলার হাল কি হবে ??
এই বিষয়ে রাজ্য গোয়েন্দা বিভাগের প্রাক্তন সচিব অমর ভূষণ জানান ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় কম করেও প্রায় ৩ কোটি বাংলাদেশী ভারতে এসেছে যারমধ্যে প্রায় প্রায় ৭০ শতাংশ রয়ে গেছে পশ্চিমবঙ্গে । তবে এটা যদি ১৯৭১ এ হয় তবে তার পর কেটে গেছে প্রায় ৫০ বছর তাই ৩ কোটি টা যে এখন ৭ কোটি নয়, তার গ্যারান্টি কেও দিতে পারবে না । যার মধ্যে বাংলাতেই য সব থেকে বেশি বাংলাদেশী রয়েছে তা আর বলে দিতে হবে না ।
এই অবস্থায় পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি বাংলায় এন.আর.সি করার দাবী নিয়ে সরব হচ্ছে, আর তাতে বাংলার সাধারন মানুষ যথেষ্ট সমর্থনও করছে । ইতিমধ্যে বিজেপির তাবড় তাবড় নেতারা বলেছেন পশ্চিমবঙ্গে এন.আর.সি করে সমস্ত অনুপ্রবেশকারী দের তাড়ানো হবে, তবে যারা শরণার্থী তারা এই দেশেই থাকতে পারবে । কিন্তু এর বিরোধীতায় নেমেছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির তৃণমূল সরকার । তারা এন.আর.সি নিয়ে বিরোধিতা করে বলছেন বিজেপি ভোটব্যাঙ্কের স্বার্থে বঙ্গে এন.আর.সি করাতে চাইছে ।
অপরদিকে তৃণমূল সহ অন্যান্য বিরোধীদের এন.আর.সি বিরোধীতার জবাব দিতে গিয়ে বিজেপি বারবার বলছে যে তারা কোন ভোটের রাজনীতি করছে না , মানুষকে এন.আর.সি নিয়ে ভুল বোঝান হচ্ছে কারন এন.আর.সি চালু হওয়ার মূলে ছিল কংগ্রেসের উদ্যোগ, সেইসাথে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি নিজে ২০০৫ সালে বাংলাদেশী অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে সংসদে কথা বলেছিলেন । তখন তিনি নিজেই বলেছিলেন পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশী অনুপ্রবেশ বেড়ে গেছে তাই তা রুখতে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত । কিন্তু তাঁর সেই পদক্ষেপ থেকে ১৮০’ ঘুরে দাড়িয়ে আজ নিজেই বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী দের সমর্থন করছেন । তাই যুব বিজেপি নেত্রী পুনম মহাজন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে “u-turn” দিদি বলে ভূষিত করেছেন এবং কে ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করছে সেই প্রশ্নও ছুড়ে দেন বাংলার আপামর জনগণের কাছে ।
তাই এই চাপা পরিস্থিতিতে বাংলার এন.আর.সি-র জল কোন দিকে গড়ায় সেদিকে এখন তাকিয়ে সারা ভারতবর্ষ । ভারতবর্ষের সুরক্ষ্যার স্বার্থে নাকি ২০১৯ লোকসভায় ভোটব্যাঙ্কের স্বার্থে এগোবে পশ্চিমবঙ্গ সেটাই এখন দেখায় বিষয় বলে অভিমত অভিজ্ঞ মহলের ।