নিউজ ডেস্ক, নিউ দিল্লীঃ- নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনিত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
দেশের প্রধানমন্ত্রী হবার পর থেকে ভারতকে আবার জগৎ সভার শ্রেষ্ঠ আসনে বসানোর জন্য একের পর এক যুগান্তকারী কাজ করে চলেছেন নরেন্দ্র মোদী। তাই ইতিমধ্যেই তার মুকুটে একের পর এক পালক যোগ হয়েছে। তবে এবার আবার নতুন করে একটা গুরুত্বপূর্ণ পালক যুক্ত হতে চলেছে মোদীজির মুকুটে। এবার প্রধানমন্ত্রী মোদীজির নাম নমিনেট করা হয়েছে নোবেল পুরস্কারের জন্য। তার করা প্রকল্প “আয়ুষ্মান ভারত” এর জন্যই তার নাম নমিনেট করা হয়েছে। তামিলনাড়ুর বিজেপি সভানেত্রী ডঃ তামিলিসাই সুন্দরারাজন প্রধানমন্ত্রীর নাম নমিনেট করেছেন নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য।
প্রসঙ্গত, গত ২৩শে সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত দিয়ে শুভ সূচনা হয় “আয়ুষ্মান ভারত”-এর। এটি এই মুহূর্তে বিশ্বের সব থেকে বড় স্বাস্থ্য বীমা। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সরকার প্রতি বছর মধ্যবিত্ত ও নিন্ম মধ্যবিত্ত মানুষের জন্য ৫ লক্ষ টাকা খরচ করবে এতে নিজের পকেট থেকে স্বাস্থ্যর জন্য খরচ না করতে হয়। এর ফলে দেশের বেশিরভাগ গরীব ও পিছিয়ে পড়া মানুষ উপকৃত হবেন৷ চিকিৎসা না পেয়ে মানুষকে মরতে হবে না৷ ভারতের মত তৃতীয় বিশ্বের দেশে স্বাস্থ্য পরিষেবা অর্থের অভাবে গুরুত্ব পায় না তাই এখানে এই ধরণের প্রকল্প খুবই দরকারি৷
সূত্রের খবর অনুসারে, তামিলনাড়ুর বিজেপি সভানেত্রী ডঃ তামিলিসাই সুন্দরারাজনই নন, তার স্বামীও মোদীজির নাম নমিনেট করেছেন এই ব্যাপারে। তার স্বামী ড. পি সৌন্দরাজন একটি নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নেফ্রোলজি বিভাগের অধ্যাপক । প্রধানমন্ত্রীর এই জনকল্যাণমুখী প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে উপকৃত হওয়া মানুষের সংখ্যা মেক্সিকো, কানাডা ও আমেরিকার মোট জনসংখ্যার থেকেও বেশি বলে জানা যাচ্ছে। তার জন্যই প্রধানমন্ত্রীর নাম নমিনেট করা হয়েছে বলেও জানা যায়। নোবেল প্রাইজের জন্য নমিনেশন জমা দেওয়া শুরু হয় প্রত্যেক বছর সেপ্টেম্বর মাসে এবং এই বছর এর শেষ তারিখ দেওয়া হয়েছে ৩১ শে জানুয়ারি ২০১৯ সাল। যদি প্রধানমন্ত্রী চান তাহলে সাংসদ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য অধ্যাপকরাও নমিনেট করতে পারেন এমনটাই বলা হয়েছে সেই বিজ্ঞপ্তিতে।
উল্লেখ্য, বিভিন্ন কেন্দ্রীয় পদক্ষেপের জেরে বিরোধীদের নিশানার কেন্দ্র বিন্দু হয়ে উঠেছে প্রধানমন্ত্রী মোদী৷ কেন্দ্রীয় বিভিন্ন প্রকল্পকে কখনও লোক দেখানো আবার কখনও ভূয়ো প্রতিশ্রুতি বলে বিরোধীরা সুর চড়ালেও একফোঁটাও দমাতে পারেনি প্রধানমন্ত্রীকে । তার ফল স্বরূপ একের পর এক উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহন করে চলেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্র সরকার ৷ আর সেই মুহূর্তে নরেন্দ্র মোদীকে তুলে ধরে এই ধরণের সম্মানের জন্য মনোনিত করার আবেদন যে গোটা দেশ ও বিশ্বের সামনে প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তিকে আরও স্বচ্ছ করবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা ।