নিউজ ডেস্ক, মালদা, ৯ ডিসেম্বর: দিদি বিয়েতে রাজি না হওয়ায় অসুস্থ বোনকে অপহরণ করে দিদিকে রাজি করানোর চেষ্টা করল চারজন দুষ্কৃতী।
অপহরণের ১দিন পর এক মহিলা সহযাত্রীর সহযোগিতায় মালদা রেল স্টেশন থেকে অপহরণ হওয়া কিশোরীকে উদ্ধার করল জিআরপি। অভিযুক্তরা পলাতক। বর্তমানে ওই কিশোরী চিকিৎসাধীন মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কিশোরী অষ্টম শ্রেণীতে পড়াশোনা করে। কন্যাশ্রীর টাকা তার ব্যাংকের খাতায় ঢুকেছে কিনা সেটা দেখতে গিয়েই রাস্তা থেকে দুষ্কৃতীরা তাকে অপহরণ করে বলে অভিযোগ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কিশোরীর বাড়ি কুচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ থানার নিজতরফ ঘটবাড়ি এলাকায়।
পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, গত ৬ ডিসেম্বর কন্যাশ্রীর টাকা ব্যাংকের খাতায় ঢুকেছে কিনা তা দেখতে গিয়ে তাকে অপহরণ করে দুষ্কৃতীরা বলে অভিযোগ। রাতের বেলা কিশোরী বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের লোকেরা মেখলিগঞ্জ থানায় নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেন। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার রাতে মালদা রেল স্টেশনে ঢোকার মুখে ওই কিশোরী যখন জানতে পারেন তাকে অপহরণ করে নিয়ে যাচ্ছে চারজন দুষ্কৃতী সেই সময় সহযাত্রী এক মহিলাকে বিষয়টি খুলে বলতেই তার সহযোগিতায় জিআরপি ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে। অসুস্থ অবস্থায় ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে মহিলা হোমে রাখা হয় সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ভর্তি করা হয় মাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। বর্তমানে সেখানেই চলছে তার চিকিৎসা।
তারা আরও জানিয়েছেন, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মোবাইল থেকে পরিবারের লোকেদের রাজি করানোর জন্য হুমকি দিচ্ছিলেন দুস্কৃতিরা। মারধোর করা হয় অপহরণ হওয়া ওই কিশোরীকে বলে অভিযোগ। পিন্টু শেখ নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন তারা। বাকিদের নাম তারা বলতে পারেননি। জানা গিয়েছে অপহৃত কিশোরীর দিদি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। তাকেই পিন্টু শেখ নামে এক যুবক বিয়ের প্রস্তাব দেয়। সে পেশায় টাওয়ার শ্রমিক। কুচবিহার এলাকায় কাজ করতে গিয়ে ওই ছাত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় বলে অভিযোগ। সেই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় অসুস্থ বোনকে অপহরণ করে দুষ্কৃতীরা বলে অভিযোগ। কিশোরী উদ্ধারের খবর পেয়ে মালদায় ছুটে আসেন ওই কিশোরীর আত্মীয়রা। তারা দুষ্কৃতীদের কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন।