
কলকাতাঃ- চার শান্তির দূতেদের দ্বারা উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় ষোল বছরের এক কিশোরীর গণধর্ষণ সংগঠিত হয়।ধর্ষণের পর ওই কিশোরীকে বিষ খাইয়ে খুন করার চেষ্টাও করা হয়।
ঘটনার তদন্ত নেমেছে পুলিশ।প্রাপ্ত হবর অনুযায়ী, গত ১৬ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যায় নির্যাতিতাকে বাড়িতে একা রেখে পরিবারের বাকি সদস্যরা স্বাস্থ্যস্বাথী কার্ড করাতে গিয়েছিল। সেই সূযোগেই বাড়িতে হানা দেয় মহম্মদ ফিরোজ, সরফরাজ, রমজান আলন আর জিয়ারুল ইসলাম নামে চার শান্তির দূত।কিশোরীর উপর চালানো হয় নির্মম অত্যাচার।ধারনা করা হচ্ছে প্রমাণ লোপাটের জন্যই কিশোরীকে জোর করে বিষ খাইয়ে দেয় চার ধর্ষক।ধর্ষকদের হাত কোনক্রমে পালিয়ে বাঁচে ওই কিশোরী, ঘটে যাওয়া সমস্ত ঘটনার বিবরণ বিস্তারিত জানায় তাঁর দাদূর কাছে।এরপর নির্যাতিতাকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যায় তাঁর পরিবারের সদস্যরা।

ধর্ষিতার বাবার কাছ থেকে জানা যায় ১৬ ফেব্রুয়ারী বড় মেয়ে আর স্ত্রীকে সঙ্গে করে নিয়ে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করতে গিয়েছিলেন হপিতয়াগঞ্জ পঞ্চায়েতে,বাড়িতেই ছিল ছোট মেয়ে।আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই বাড়িতে চড়াও হয় চার শান্তির দূত।

ইসলামপুরের পুলিশ সুপার শচিন মক্কার জানান নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগের পরই শুরু হয়েছে পুলিশি তদন্ত। মেডিক্যাল পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে আসার পর জানা যাবে সবকিছু।তিনি দাবী করেন বলেন দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে।
