বিজেপি সাধারণ সম্পাদক রামমাধবজীর নেতৃত্বাধীন এই চীন সফরে উত্তর-পূর্ব ভারতের ত্রিপুরা ছাড়াও আসাম ও নাগাল্যান্ডের দুজন মন্ত্রীও ছিলেন । মূলত চীনের শিল্প নীতি কে ভালো করে খতিয়ে দেখা ও উত্তর-পূর্ব ভারতে রাজ্যগুলিতে বিনিয়োগের উদ্দেশ্যেই এই চীন সফর ছিল ।
স্বাস্থ্য ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী সুদীপ রায় বর্মনের এই চীন সফরের 10 দিনের মধ্যেই সফরের ফলাফল পেল ত্রিপুরা রাজ্য । সূত্রের খবর অনুসারে ত্রিপুরায় শিল্পের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে আগামী সেপ্টেম্বর মাসে রাজ্যে আসছেন চীনের শিল্পোদ্যোগীদের একটি প্রতিনিধি দল । তারা এসে ত্রিপুরায় কি কি শিল্পের সম্ভাবনা রয়েছে , এখানে শিল্প স্থাপনে সুবিধা কি কি পাওয়া যাবে , সেইসাথে ভারত ও বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা যা চীনের সাথে অন্য রাষ্ট্রগুলো ব্যবসায়িক সুবিধা এনে দেবে সে গুলোকে খতিয়ে দেখবে ।
ত্রিপুরা বাংলাদেশের একেবারে পার্শ্ববর্তী হওয়ায় বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দর এর সাথে ত্রিপুরা দূরত্ব মাত্র ১০০ কিলোমিটার এছাড়াও ইতিমধ্যে দুই দেশের মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী ফেনী নদীর ব্রিজের কাজও শুরু হয়ে গেছে, যার ফলে বৈদেশিক শিল্প সম্ভাবনা অনেক বেড়ে গেছে সেই কারণে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরকে কেন্দ্র করে শিল্প বাণিজ্য গড়ে তুলতে উদ্যোগী হয়েছে চীন বলে জানা যায় ।
এছাড়াও চীনের গোয়াংঝাও-এ অনুষ্ঠিত ভারত ও চীনের প্রতিনিধিদলের বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সুদীপ রায় বর্মণ রাজ্যের বিভিন্ন রকম প্রকৃতিজাত শিল্প যেমন বাঁশ, রবার, আগর থেকে শুরু করে বিভিন্ন সার কারখানা ও ত্রিপুরার গ্যাস কে ব্যবহার করে বিভিন্ন শিল্পের সম্ভাবনার কথা জানান চীনা শিল্পোদ্যোগীদের । এছাড়াও তিনি উত্তর-পূর্বের অন্যান্য রাজ্য আসাম, মায়ানমার, নাগাল্যান্ড, মনিপুর এর সাথে ত্রিপুরা যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের সাথে আন্তরাষ্ট্রীয় যোগাযোগ ব্যবস্থার গুরুত্বও তুলে ধরেন । চীন সফর সেরে গত শুক্রবার রাজ্যে ফেরেন সুদীপবাবু এরপরই চীনের শিল্পপতিদের তরফ থেকে রাজ্যে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করা হয় যা থেকে ত্রিপুরায় শিল্প সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে গেল বলে অভিমত প্রকাশ করছে রাজ্যবাসী ।