নিউজ ডেস্ক,পশ্চিম মেদিনীপুরঃ- তৃণমূলের উন্নয়ন বাহিনীর হাতে আক্রান্ত গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ ।
মুখ্যমন্ত্রীর সভায় যাওয়ার জন্য বাসের তেল ভরাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে পেট্রোল পাম্প কর্মীদের গন্ডগোলের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে তৃণমূল কর্মীদের হাতে আক্রান্ত দুই সংবাদ মাধ্যমের কর্মী মৃন্ময় চক্রবর্তী ও সেক ওয়ারেশ আলী। ঘটনাটি ঘটেছে মেদিনীপুর শহরের উপকণ্ঠে ধর্মা পেট্রোল পাম্পের কাছে। জানা গেছে এই দুজনকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছিনিয়ে নেওয়া হয় মোবাইল, ক্যামেরা, ব্যাগ। ওয়ারেশ ও মৃন্ময় নিজেদের সংবাদ মাধ্যমের কর্মী পরিচয় দিলেও তাদেরকে ছাড়া হয়নি।
দেখুন ভিডিও
ঘটনাচক্রে পুরো ঘটনার নেতৃত্ব দেন কেশপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শুভ্রা দে সেনগুপ্ত। শুভ্রা দে সেনগুপ্তর নির্দেশে দুজনকে রাস্তায় ফেলে মারধর করে প্রায় ৫০/৬০ জন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। আহত অবস্থায় ঐ দুই সাংবাদিক জল চাইলেও তাদের পানীয় জল পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। পরে মেদিনীপুর কোতওয়ালী থানার পুলিশ গিয়ে আহত দুজনকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। গুরুতর আহত ২ জনকে ভর্তি করা হয়েছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। জানা গেছে, যেই বাসের যাত্রীরা মারধর করেছে, সেই বাসটি কেশপুর থেকে এসেছিল।
এই ঘটনার পর তীব্র নিন্দা প্রকাশ করেছেন জেলার সাংবাদিক মহল এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রশাসনের কাছে দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবী জানানো হয়েছে । নোংরা রাজনীতির শিকার কেন বার বার সংবাদ মাধ্যমের কর্মীরা হচ্ছে সেই নিয়েও ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলেছে বিশেষজ্ঞ মহল ।
দেখুন ভিডিও