নিউজ ডেস্ক নয়াদিল্লি ঃ-
বিজেপি তাদের অবস্থান আরও একবার স্পষ্ট করল সংবিধানের তিনশ সত্তর ও পঁয়ত্রিশ এ ধারা নিয়ে৷ এই ২টি ধারা সংবিধানের পরিপন্থী, ৭ই এপ্রিল নির্বাচনী ইস্তেহারে জানিয়েছে বিজেপি৷ তাই তিনশ সত্তর ও পঁয়ত্রিশ এ ধারা তারা বাতিলের পক্ষে৷ ৭ই এপ্রিল নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করেছে বিজেপি। এই বিষয়টি নিয়ে সর্বাধিক আলোচনা শুরু হয়েছে মোট পচাত্তরটি প্রতিশ্রুতির মধ্যে। দল মনে করছে তিনশ সত্তর ও পঁয়ত্রিশ এ ধারা সংবিধানের পরিপন্থী। রাজনাথ সিং দলের থেকে আরও একধাপ এগিয়ে বললেন, “ওই সরকারের অন্য উপায় নেই এই ২ই ধারা প্রত্যাহার করে নেওয়া ছাড়া।” জম্মু কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা ইস্তেহারে তা প্রকাশের পর বিজেপির বিরুদ্ধে তেড়েফুঁড়ে আসরে নামেন৷ তারা এর মোকাবিলা করবে বলে জানান হুমকির সুরে, যদি তিনশ সত্তর ধারা বাতিল করার চেষ্টা করা হয়৷ ফারুক আবদুল্লা কটাক্ষ করে বলেন, ওদের মতলব হল বাইরে থেকে লোক আনিয়ে কাশ্মীরে বসিয়ে দেওয়া৷ এরপর আমাদের জনসংখ্যা কমিয়ে নিজেদের জনসংখ্যা বাড়িয়ে দেওয়া৷ কিন্তু কাশ্মীরিরা এত সহজে তা মেনে নেবে না৷ ফারুকের হুঁশিয়ারি, ‘‘আমরা এর মোকাবিলা করব৷ আমরাও দেখব তিনশ সত্তর ধারা কে কী করে বাতিল করে৷’ বিজেপিকে উদ্দেশ্য করে কড়া হুঁশিয়ায়ি দিয়েছেন এই বিষয়ে পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি। তাঁর কথায়, “ইতিমধ্যেই জম্মু-কাশ্মীর বারুদের স্তুপের উপরে বসে রয়েছে। তিনশ সত্তর ও পঁয়ত্রিশ এ ধারা নিয়ে কিছু করা হলে শুধু কাশ্মীর নয়, সমগ্র দেশে আগুন জ্বলবে।” তবে সুর নরম করেও একদা জোট সঙ্গীর প্রতি বার্তা দিয়েছেন মেহবুবা। তিনি বলেছেন, “আমি বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে অনুরোধ করব যাতে আগুন নিয়ে না খেলা হয়। তাহলেই সব পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকবে।” তবে বিজেপি নিজেদের অবস্থানে অনড় রয়েছে। সংবিধানের তিনশ সত্তর ও পঁয়ত্রিশ এ ধারা কাশ্মীর থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হবেই মোদী সরকার ফের ক্ষমতায় এলে। বিদায়ী মোদী সরকারের মন্ত্রী রাজনাথ নিজের বক্তব্যের স্বপক্ষে যুক্তিও দিয়েছেন। তাঁর কথায়, যদি জম্মু-কাশ্মিরের জন্য আলাদা প্রধানমন্ত্রীর দাবি ওঠে তাহলে সরকারের কিছু করার থাকবে না আমি খুব স্পষত করে জানিয়ে দিতে চাইছি। বাধ্য হয়েই তিনশ সত্তর এবং পঁয়ত্রিশ এ ধারা প্রত্যাহার করে নিতে হবে।” দেশের বিদায়ী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে বিজেপির অবস্থানের বিরোধিতা করা ২ই রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাকেও এই নিয়ে আক্রমণ করেছেন। তিনি বলেছেন, “যারা দীর্ঘ ২দিন জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তাঁরা এবং ওই রাজ্যের জন্য আলাদা প্রধানমন্ত্রি চাইছেন। এই বিষয়ে আমি কংগ্রেস সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের অবস্থান জানতে চাইব? এই বিষয়ে তারা কী অবস্থান নেবে? তারাও কি ভারতের জন্য ২ই জন প্রধানমন্ত্রী চাইবে?”