নিউজ ডেস্ক নয়াদিল্লি ঃ-
শ্রীলঙ্কায় ভয়াবহ জঙ্গি হামলার মাস্টারমাইন্ড আইএস জঙ্গি সদস্য হাশিম অন্তত ২ বছর ভারতে কাটিয়েছিল৷ এমনই চাঞ্চল্যকর সংবাদ প্রকাশ করেছে ‘দ্য হিন্দু’৷ শ্রীলঙ্কার সেনাবাহিনীর একটি সূত্র উদ্ধৃত করে রিপোর্টে লেখা হয়েছে, কট্টরপন্থী ইসলামিক সংগঠন এনটিজে যে উগ্র ধর্মীয় বার্তা দিত তার অধিকাংশই এই হাশিমের দেওয়া৷ সে ২ বছর দক্ষিণ ভারতে কাটিয়েছিল৷ হাশিমের ফেসবুক পেজ থেকে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা হচ্ছে৷ গোয়েন্দা বিভাগের হাতে এসেছে আইএস জঙ্গিদের দ্বারা উদ্বুদ্ধ কয়েকজনের বক্তব্য৷ তারা ২০১৮ সালে তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটোরে গ্রেফতার হয়৷ তাদের সঙ্গে কথা বলেই জানা গিয়েছে শ্রীলঙ্কার জঙ্গি হাসিম ভারতে এসেছিল৷ ধর্মীয় শিক্ষা সম্পূর্ণ করার পর মৌলবী হিসেবে দক্ষিণ ভারত থেকে ফের শ্রীলংকায় ফিরে গিয়েছিল হাসিম৷ দ্য হিন্দু এই চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট প্রকাশ করেছে তাদের কলম্বো ও নয়াদিল্লি প্রতিনিধিদের দেওয়া রিপোর্টের ভিত্তিতে৷ দুই প্রতিনিধি খুঁজে দেখেছেন জঙ্গি হাসিমের পরিচয়৷ জাহরানের বাড়ি শ্রীলংকার কাত্তানকুডি এলাকায়। এই এলাকা মুসলিম অধ্যুষিত৷ এখানেই ২০১১ সালে এনটিজে নামে সংগঠনটি গড়ে তোলে জাহরান হাসিম। ৩৩ বছর বয়সী জাহরান হাসিম ব্যবহারিক জীবনে সবার সঙ্গে সম্পর্ক রাখত৷ ৫ ভাই বোনের মধ্যে হাশিম সবার থেকে বড়। জাহরানের বোন মাদানিয়া জানিয়েছেন, গত ১৮ এপ্রিলের পর থেকে হাসিমের সঙ্গে আর যোগাযোগ হয়নি। আমি জানি না তারা কোথায় আছে। তিনি জানিয়েছেন, ২০১৭ সালের পর থেকে জাহরান ধর্ম নিয়ে অন্যরকম ভাবতে শুরু করে। জাহরান বলত, শুধু মুসলিমদের জন্যই গোটা বিশ্ব। সে অন্য ধর্মাবলম্বীদের বিপক্ষে ছিল। সেই বছরেই একটি ধর্মীয় গোষ্ঠীর সঙ্গে হাসিমের গোষ্ঠী এনটিজে সংগঠনের গুলির লড়াই হয়েছিল৷ তারপর থেকে আন্ডার গ্রাউন্ডে চলে যায় হাসিম৷ গত ২১শে এপ্রিল ধারাবাহিক ৮টি বিস্ফোরণে রক্তাক্ত হয় শ্রীলঙ্কা৷ ২০০ এর বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে৷ চার্চ ও হোটেলে বিস্ফোরণের পর ইসলামিক স্টেট সেই দায় নিয়েছে৷ পরে জানা গিয়েছে আইএস সহযোগী সংগঠন এনটিজে গোষ্ঠী জড়িত এই হামলায়৷ তাদের পরিচালনা করত হাসিম৷ শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মৈত্রিপালা সিরিসেনা জানিয়েছেন, ইস্টার সানডের দিন বিস্ফোরণ হয় যে পাঁচতারা সাংগ্রি লা হোটেলে৷ সেখানেই আত্মঘাতী বিস্ফোরণে মারা গিয়েছে হাসিম৷