নিউজ ডেস্ক, দিল্লিঃ-একটা সময় ছিল যখন ভারতের কূটনীতি ও বিদেশ নীতি অত্যন্ত নড়বড়ে ছিল, যা নিয়ে অন্যান্য দেশ সমালোচনা করতো। কারণ এত বিশাল দেশ হওয়া সত্ত্বেও ভারতের সেইরকম মজবুত বিদেশনীতি ছিল না। অন্যদিকে আজ ভারতের বিদেশনীতি ও কূটনীতি পুরো বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত হচ্ছে। মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে চীনা সমর্থক আব্দুল্লা য়ামিনকে হারানোর পর বর্তমান রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মহম্মদ সোলিহ চীনকে কড়া বার্তা দিয়েছে।বার্তায় সোলিহ বলেন “ভারত বিরোধী গতিবিধি চালানোর জন্য মালদ্বীপের জমি কোনো ব্যাবহার করতে দেওয়া হবে না, ভারত ও মালদ্বীপ দুই শতক ধরে সংস্কৃতিকে এবং ঐতিহাসিক সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।” বিগত কিছু বছর ধরে মালদ্বীপ ও ভারতের সম্পর্কে যে অবনতি হয়েছিল তা নিয়েও দুঃখ প্রকাশ করেন সোলিহ।
ভারত যাত্রার উপলব্ধি নিয়ে বলতে গিয়ে সোলিহ বলেন, আমি খুবই খুশি যে আমার প্রথম বিদেশ যাত্রার জন্য আমি ভারতকে বেছে নিয়েছি। এটা দুই দেশের ঐতিহাসিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করবে, এবং এটা দুই দেশের মজবুত সম্পর্কের প্রতীক। হিন্দ মহাসাগরে সুরক্ষা ও স্থায়িত্ব নিয়ে আমরা একসাথে আছি। মালদ্বীপে চীনের প্রভাব নিয়ন্ত্রন করা নিয়েও মন্তব্য করেন সোলিহ। ভারতের প্রশংসা করতে গিয়ে সোলিহ বলেন মালদ্বীপের আর্থনৈতিক অবস্থাকে গুরুত্ব দিয়ে ভারত আর্থিক প্যাকেজের ব্যাবস্থা করেছিল।
সামরিক ও রণনীতির দিক থেকে মালদ্বীপ ভারতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ন দেশ। রাষ্ট্রপতি আব্দুল্লা ইয়ামিনের শাসন কালে চীন সরকার ভারতকে বিপাকে ফেলার পূর্ণ চেষ্টা করেছিল । ভারতকে চাপে রাখতে এই নির্বাচনেও চীন আব্দুল্লা ইয়ামীনকে জয়ী করতে চেয়েছিলো।চীন এই জন্য আব্দুল্লাকে আর্থিক সাহায্যের পাশাপাশি কূটনৈতিক সহযোগীতাও করেছিল ।
অন্যদিকে নরেন্দ্র মোদী মালদ্বীপে ভারতের গুপ্তচর বাহিনী এবং ‘র” কে সক্রিয় করে তুলে, যার ফলস্বরূপ চীনের কূটনীতি চাল বিফলে যায় এবং ভারত সমর্থিত রাষ্ট্রপতির ইব্রাহিম মহম্মদ সোলিহ-র জয় হয়। রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মহম্মদ সোলিহ মালদ্বীপে সক্রিয়ভাবে কাজ শুরু করে দিয়েছেন। মালদ্বীপ এখন চীনা প্রভাবমুক্ত দেশ। রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সোলিহের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে নরেন্দ্র মোদী ভারত ও মালদ্বীপ-এর নুতন সম্পর্কের সূচনার বার্তা দিয়েছিলেন। মালদ্বীপের বর্ত সামরিক ও রণনীতির দিক থেকে মালদ্বীপ ভারতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ন দেশ। রাষ্ট্রপতি আব্দুল্লা ইয়ামিনের শাসন কালে চীন সরকার ভারতকে বিপাকে ফেলার পূর্ণ চেষ্টা করেছিল । ভারতকে চাপে রাখতে এই নির্বাচনেও চীন আব্দুল্লা ইয়ামীনকে জয়ী করতে চেয়েছিলো।চীন এই জন্য আব্দুল্লাকে আর্থিক সাহায্যের পাশাপাশি কূটনৈতিক সহযোগীতাও করেছিল । মান রাষ্ট্রপতির বার্তা থেকে এটা স্পস্থ হয়ে গেছে যে এবার মালদ্বীপে ড্রাগনদের আগ্রাসন আর কাজে আসবে না।