ওয়েবডেস্ক , ২৫ সেপ্টেম্বর : পশ্চিম বঙ্গে মানুষের কৃষি বিল নিয়ে ‘বিভ্রান্তি’ দূর করতে প্রচারে নামছে রাজ্য বিজেপি। পশ্চিমবঙ্গ দলের সাধারণ সম্পাদক সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে এক সপ্তাহ রাজ্যের সব ব্লকে পদযাত্রা করবেন তাঁরা। পরে হাটবাজার ও চায়ের দোকানে কৃষকদের বিল সম্পর্কে বোঝাবেন বিজেপি নেতৃত্ব। কৃষি বিলের প্রতিবাদে বাংলা থেকে দিল্লি, বিজেপি বিরোধী আন্দোলনে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস। একুশের নির্বাচনের আগে বিজেপিকে কৃষক-বিরোধী প্রমাণ করাই এখন তাঁদের লক্ষ্য। গত সোমবার নবান্নের সভাঘরে সাংবাদিক বৈঠকে করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ভুঁইফোড়-জোতদারদের হাতে ক্ষমতা দিয়ে দিচ্ছে কেন্দ্র। চাষিদের ভবিষ্যত্ নষ্ট করছে।’
কেন্দ্রকে ‘মজুতদার’, ‘কালোবাজারির সরকার’ বলে কটাক্ষ করে মমতা আশঙ্কা প্রকাশ করেন, ‘দেশে এবার খাদ্যের দুর্ভিক্ষ আসতে চলেছে।’ কেন্দ্রীয় সরকারকে সরাসরি তাঁর প্রশ্ন, ‘চাষিদের জন্য কী করেছেন?
ইতিমধ্যেই এই বিলের প্রতিবাদে পথে নেমেছে তৃণমূল। মহিলা ও ছাত্র সংগঠনের পরে এদিন পুরো পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছে দলের কৃষক সংগঠন। শুক্রবার ধর্মতলায় গাঁধী মূর্তির সামনে বড় সভা করবেন বলে জানিয়েছেন সংগঠনের সভাপতি বেচারাম মান্না
তৃণমূলের এই আন্দোলন রুখতে পাল্টা আন্দোলনে নামতে চলেছে বিজেপি। এছাড়াও, গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, কৃষি বিল নিয়ে বোঝাতে হাফ ডজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে বাংলায় পাঠাচ্ছেন বিজেপি নেতৃত্ব।সেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা হলেন স্মৃতি ইরানি, পীযূষ গোয়েল, নরেন্দ্র তোমার, ধর্মেন্দ্র প্রধান, কিরণ রিজিজু ও প্রহ্লাদ প্যাটেল।
কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষিবিলের ‘উপযোগিতা’ ব্যাখ্যা করে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয় বলেছেন, ”এ রাজ্যে চাষি তাঁর ফসল মান্ডিতে বিক্রি করতে গেলে মাঝে সোসাইটি রয়েছে। সোসাইটি চালায় তৃণমূল। এই বিলের ফলে তৃণমূলের পকেটে আর সেই টাকা যাবে না। তাই এত বিরোধিতা।