নিউজ ডেস্ক, কলকাতা:- কলকাতা থেকে চিন এবার মাত্র এবার ৬ ঘণ্টায়
প্রথম ব্যক্তি – আচ্ছা দাদা, কলকাতা থেকে আগরতলায় আসতে ট্রেনে কতক্ষণ সময় লাগে ??
দ্বিতীয় জন – এই ৩০-৩৫ ঘণ্টা মতন ।
প্রথম ব্যক্তি – আর চিন ??
দ্বিতীয় জন – মানে ?? সে তো বিমান ছাড়া যাওয়াই যায় না ।
প্রথম ব্যক্তি – আরে দাদা , কলকাতা থেকে চিন তো এখন মাত্র ৬ ঘণ্টা ।
হ্যাঁ। স্বপ্ন হলেও, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ৪/৫ বছরের মধ্যে এই স্বপ্ন সত্যি হতে চলেছে । এমনটাই আশার বানী শোনালেন চীনের কনসাল জেনারেল মা ঝানহু । কলকাতায় একটি কনফারেন্সে যোগদিতে এসে গতকাল কনসাল জেনেরাল বলেন, “ভারত ও চিনের যৌথ উদ্যোগে বুলেট ট্রেন চালানোর জন্য হাইস্পিড রেল লিঙ্ক তৈরির কথাবার্তা চলছে। এই পরিকল্পনা যদি বাস্তবায়িত হয় তাহলে কয়েক ঘণ্টায় কুনমিং থেকে কলকাতা পৌঁছানো যাবে।” এই প্রকল্পের ফলে মায়ানমার এবং বাংলাদেশও লাভবান হবে কারন কুনমিং থেকে মায়ানমার ও বাংলাদেশ হয়ে কলকাতা পর্যন্ত বুলেট ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছে চিন। ভারত ও চীনের এই যৌথ প্রচেষ্টায় দুটি শহর একটি উচ্চ গতির রেল সংযোগ দ্বারা যুক্ত হবে। উল্লেখ্য, এই প্রকল্পটির কথা ২০১৫ সালে কুমিং-এই এক সামিটে প্রথম বলা হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, রেল সংযোগটি যখন বাস্তবায়িত হবে, তখন কুনমিং থেকে কলকাতায় যাওয়ার জন্য মাত্র কয়েক ঘন্টা সময় লাগবে । এই প্রকল্পের মাধ্যমে মায়ানমার ও বাংলাদেশ উপকৃত হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। তিনি আরও বলেন, ২৮০০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই প্রকল্পে জড়িত দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সম্ভাবনা কারন এই রুটের পাশে বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানও গড়ে তোলার চিন্তাভাবনা চলছে। এর ফলে এই রুট যে দেশগুলির মধ্যে দিয়ে যাবে তারা লাভবান হবে। কিন্তু ঠিক কবে থেকে শুরু হবে কাজ সে বিষয়ে কিছু জানা যায় নি। যাত্রাপথের নকশা সম্পর্কেও তথ্য মেলেনি।
অপরদিকে ভারতের অন্যপ্রান্তেও তৈরি হচ্ছে বুলেট ট্রেনের ট্র্যাক। ২০২২ সালে গুজরাত থেকে মুম্বাই অবধি ঝড়ের গতিতে ছুটে যাবে বুলেট ট্রেন। সিংহাসনে বসার দিন কয়েকের মধ্যেই এই পরিকল্পনা সেরে ফেলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী । ন্যাশনাল হাই স্পিড রেল কর্পোরেশন সূত্রে খবর, যে লাইন বানানো হচ্ছে তা সোজা এবং সমান হবে এবং কেন্দ্রীয় সরকারের ইচ্ছা অনুসারে ২০২২ সালের ১৫ আগস্ট চালু করা হবে ভারতের প্রথম বুলেট ট্রেন পরিষেবা । ঠিক তার মধ্যেই চীনের কনসাল জেনারেল মা ঝানহু-এর চিনের কুনমিং থেকে কলকাতা পর্যন্ত বুলেট ট্রেন চালানোর উদ্যোগ যদি সফল হয় তবে দেশের মুকুটে যে আলাদা পালক যোগ হবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না ।