সত্যি বলতে কী, কোভিড ১৯ নিয়ে যতটা না গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ্যে আসছে, বাজে খবর ছড়িয়ে পড়ছে তার চেয়ে ঢের বেশি! এই সমস্ত খবরের মধ্যে কিছুটা জায়গা জুড়ে রয়েছে গুজব, কিছুটা জায়গা আবার অন্য দিকে দখল করে আছে বেশ কিছু উদ্ভট সমীক্ষা! সব চেয়ে বড় কথা, কিছু ক্ষেত্রে আবার কোভিড ১৯ নিয়ে জনমত তৈরিতে সক্রিয় ভূমিকা নিচ্ছে রাজনীতিও। পাশাপাশি সমান তালে বড়সড় একটা প্রভাব বিস্তার করছে কোভিড ১৯-এর টিকার ট্রায়াল চালাকালীন মানুষের অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর! সব মিলিয়েই তাই সাম্প্রতিক খবর জানিয়েছে যে মার্কিন মুলুকের বেশির ভাগ জনতাই কোভিড ১৯-এর প্রতিষেধক টিকা নিতে ইচ্ছুক নন!
দ্য অ্যাসোসিয়েট প্রেস- এনওআরসি সেন্টার ফর পাবলিক অ্যাফেয়ার্স রিসার্চের দেওয়া খবর মারফত প্রকাশ্যে এসেছে এই সত্য। এই খবর দাবি করছে যে ৪৬ শতাংশ আমেরিকান সটান মুখের উপরেই বলে দিচ্ছেন যে তাঁরা কোভিড ১৯-এর প্রতিষেধক টিকা নেবেন না! বাকি রইলেন যাঁরা, সেই দলও কিন্তু স্পষ্টাস্পষ্টি সম্মতি জানায়নি। হ্যামলেটের মতো এঁরা ভুগছেন টু বি অর নট টু বি দ্বিধায়, ২৯ শতাংশ তাই জানিয়েছেন যে এ ব্যাপারে তাঁরা এখনও কিছু ভেবে উঠতে পারেননি! তবে শুধুই শ্বেতাঙ্গ নন, কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকানদের এ ব্যাপারে একই মতামত দেখে চোখ কপালে উঠেছে সংস্থার। পরিসংখ্যান বলছে যে শ্বেতাঙ্গদের তুলনায় কোভিড ১৯-এর সংক্রমণ অনেক বেশি সর্বনাশ করেছে কৃষ্ণকায় আমেরিকানের। তাও তাঁদের মধ্যে ২৯ শতাংশ কিছুতেই প্রতিষেধক টিকা নিতে রাজি নন!
বিশেষজ্ঞমহলের দাবি, এ ব্যাপারে সম্ভবত মুখ্য ভূমিকা পালন করছে রাজনৈতিক প্রভাব। ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফেস মাস্ক খুলে ফেলার বেপরোয়া মনোভাব, সাম্প্রতিক রহস্যজনক অসুস্থতা দেশের মানুষের মধ্যে কোভিড ১৯-এর প্রতিষেধক টিকা নিয়ে নেতিবাচক মনোভাব তৈরি করছে। পাশাপাশি জনসন অ্যান্ড জনসনের মতো সুপ্রতিষ্ঠিত সংস্থার প্রতিষেধক টিকা নিয়ে স্বেচ্ছাসেবীদের অসুস্থ হয়ে পড়াটাও ভয় জাগিয়েছে মনে। তাই খবর বলছে যে আপাতত এই টিকার ট্রায়াল এবং তার সঙ্গে যুক্ত স্বেচ্ছাসেবীদের অতিরিক্ত সুরক্ষার ব্যবস্থা করবে প্রশাসন। ভাল উদ্যোগ সন্দেহ নেই, তবে মানুষের নেতিবাচকতাকে কী করে বদলে ফেলা যাবে ইতিবাচকতায়- সেটাও প্রশ্ন বইকি!