সম্প্রতি মোটর ভেহিকল রুলস ১৯৮৯-তে সংশোধন এনেছে সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রক। এর জেরে এ বার আপনার যানবাহনের রক্ষণাবেক্ষণ-সংক্রান্ত যাবতীয় নথিপত্র, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ই-চালানসহ সমস্ত কিছুর খতিয়ান রাখা হবে একটি ই-পোর্টালের মাধ্যমে। সেই সূত্র ধরেই ট্র্যাফিক পুলিশের ক্ষেত্রেও নিয়মে আরও কড়াকড়ি করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে কেউ যদি ট্র্যাফিক পুলিশের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন, তা হলে চালানের পাশাপাশি বাতিল হতে পারে তাঁর লাইসেন্সও। এর পাশাপাশি গাড়ি না থামালে বা ট্রাকলোডিং এলাকায় গাড়িতে চড়াসহ একাধিক ক্ষেত্রেই বাতিল হতে পারে লাইসেন্স।
এই মোটর ভেহিকল রুলস-এ ২০১৯ সালে সংশোধনী প্রস্তাব আনা হয়। তার পর ৯ আগস্ট সংশোধনী সর্বসমক্ষেও আনা হয়। নতুন সংশোধন অনুযায়ী, এ বার গাড়ি চালানোর সময় আর নিজের লাইসেন্স ডকুমেন্ট সঙ্গে রাখতে হবে না। সফট কপিতেই কাজ চলে যাবে। কারণ আপনার যানবাহনের রক্ষণাবেক্ষণসংক্রান্ত যাবতীয় নথিপত্র থাকবে অনলাইন পোর্টালে। ডিজি লকার বা এম পরিবহ নামে নানা পোর্টালের মাধ্যেমই চালকরা তাঁদের গাড়ির কাগজপত্রের রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারবেন। পাশাপাশি চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত বা বাতিল করা হলে সেটাও করতে হবে পোর্টালের মাধ্যমেই।
শুধু তাই নয়, কবে, কোথায়, কোন ট্র্যাফিক পুলিশ বা অন্য অফিসার নথি পরীক্ষা করেছেন তার তথ্যও পাওয়া যাবে পোর্টালে। কোন সময়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে, তারও উল্লেখ থাকবে। ফলে একই গাড়ির কাগজ বার বার পরীক্ষা করার দরকার পড়বে না। এ বার থেকে ই-চালানের মাধ্যমে জরিমানা দেওয়ার সুবিধাও দেওয়া হবে। যদি এমন কোনও ঘটনা ঘটে যাতে চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল করতে হবে, তা হলে কর্তৃপক্ষ মারফত ওই ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল করার আবেদন ওয়েবসাইটে আপলোড করে দিলেই হবে
তবে, লাইসেন্স বাতিল হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট চালক বা কর্তৃপক্ষ যদি কোনও নথি দেখতে চান, তারও ব্যবস্থা রয়েছে। সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, লাইসেন্স বাতিলের সময়ে ইন্সপেকশনের তারিখ ও স্ট্যাম্প, সংশ্লিষ্ট পুলিশ অফিসার বা রাজ্য সরকারের কোনও আধিকারিকের নাম-পরিচয় সমস্ত কিছুই রেকর্ড করা থাকবে পোর্টালে। সমস্ত নথি সময় অনুযায়ী আপলোড করা থাকবে। সেই মতো সংশ্লিষ্ট চালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।