নিউজ ডেস্ক, কোচবিহার:- একই দিনের তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত রাজ্য বিজেপির ২ অধিনায়ক, রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং যুবমোর্চা সভাপতি দেবজিত সরকার ৷ পুলিশের সামনেই হমলা চালানো হয়েছে তাদের গাড়িতে । হামলা চালিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস, অভিযোগ বিজেপির ৷
কোচবিহারে বিজেপির রথযাত্রার আগেই বিজেপির রাজ্য সভাপতির কনভয়ে হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনা কোচবিহারের সিতাই এলাকার৷ জানা যায়, বৃহস্পতিবার কোচবিহারে উদ্দেশ্যে রওনা দেন দিলীপ ঘোষ, দুপুরে সিতাই পৌঁছে যেতেই দিলীপবাবুর গাড়িতে ঝাঁপিয়ে পড়েন স্থানীয় কয়েকজন৷ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সহ বিজেপির বেশ কয়েকজন নেতৃত্ব কালো পতাকা দেখিয়ে ‘গো ব্যাক’ শ্লোগান তুলল তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা। সেইসাথে লাঠি দিয়ে তাঁর গাড়ির কাঁচ ভেঙে দেওয়া হয়৷ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন বিজেপির যুব মোর্চার রাজ্য সম্পাদক বাপ্পা চ্যাটার্জী । সম্পূর্ণ ঘটনা পুলিশের উপস্থিতিতে, পুলিশের সামনে ঘটলেও , নির্বাক দর্শকের ভুমিকা পালনে ব্যস্ত ছিল পুলিশবাবুরা ।
ঘটনায় উত্তপ্ত হচ্ছে পরিস্থিতি৷ কারণ সাম্প্রতিক সময়ে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে কোচবিহার উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে৷ বারে বারে সংঘর্ষ জড়িয়েছে তৃণমূলের দুটি পক্ষ৷ এদিন সরাসরি বিজেপির রাজ্যসভপতি অভিযোগ করলেন, তৃণমূল হামলা চালিয়েছে৷ সেইসাথে তিনি আরও বলেন, তৃনমুলের কাছ থেকে দিন দিন জনসাধারনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে, যার জন্য বারবার ওরা বিজেপিকে এভাবে দমাতে চাইছে । তৃণমূল এই এলাকাকে মুক্তাঞ্চল তৈরি করেছে। এর আগেও আমাদের কর্মীদের উপর আক্রমণ হয়েছে। বাড়ী ভেঙেছে। পার্টি অফিস পুড়িয়েছে। আজকেও আমাদের উপড়ে আক্রমণ করেছে। আমার গাড়ি সহ তিনটি গাড়ি ভেঙেছে। আমাদের যুব মোর্চার কর্মী আহত হয়েছে। তার মাথা থেকে রক্ত পড়ছে। আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন। আর পুলিশ দাড়িয়ে দাড়িয়ে যাত্রাপালা দেখছে ।
উল্লেখ্য, আগামী কাল কোচবিহার থেকে গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রা শুরু করতে চলেছে বিজেপির । সেই যাত্রার উদ্বোধনী সভায় আসছেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। তিনি নাটাবাড়ী বিধানসভার ঝিনইডাঙ্গায় সভা করবেন বলে জানা গিয়েছে। ওই সভার প্রস্তুতিতে ইতিমধ্যেই বিজেপির রাজ্য ও কেন্দ্রীয় কমিটির বেশ কয়েকজন নেতা কোচবিহারে এসে উপস্থিত হয়েছেন। এদের মধ্যে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সহ বেশ কয়েকজন নেতৃত্ব কোচবিহার থেকে শীতলখুচির খলিসামারির দিকে যাচ্ছিলেন। মনিষী পঞ্চানন বর্মার জন্ম ভিটায় শ্রদ্ধা জানানোর জন্য যাচ্ছিলেন। কিন্তু রাস্তায় মাথাভাঙা পঞ্চানন মোড় এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা কালো পতাকা নিয়ে জমায়েত হয়ে থাকে। খবর পেয়ে মাথাভাঙা থানার পুলিশ সেখানে পৌঁছে যায়। সেখানে দিলীপ ঘোষের গাড়ি পৌঁছালে পুলিশের সামনেই কালো পতাকা দেখিয়ে ‘গো-ব্যাক’ শ্লোগান তোলে তৃণমূল কর্মীরা। লাঠি নিয়ে প্রত্যেকটি গাড়ির আঘাত করা হয় বলে অভিযোগ।
এইধরনের জঘন্য ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দিনের পর দিন রাজ্যের শাসক দল যেভাবে বিজেপি কর্মীদের ওপর আক্রমন চালাচ্ছে, তার থেকে ২০১১ তে পরিবর্তনের আগের লাল সন্ত্রাসের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে । সেইবার রাজ্যের জনগণ অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে লাল হটিয়ে সবুজ এনেছিল, বর্তমানে রাজ্যের যে পরিস্থিতি, তাতে খুব দ্রুত যে পশ্চিমবঙ্গ সবুজ রঙ মুছে গেরুয়া হতে চলেছে, টা আর বলার অপেক্ষা রাখে না , আজ মাথাভাঙার সিতাই মোড়ে হামলার ঘটনা যে রাজ্যে গনতন্ত্র বলে কিছুই নেই তা আবার প্রমান হল বলে মত ব্যক্ত করেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু ।