নিউজ ডেস্ক, কলকাতাঃ-
যখন উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকার একদিকে শহর, গ্রাম,জেলার নাম পরিবর্তন করে হিন্দু দেব-দেবি দের নামে করে হিন্দুত্বের গর্ব ফিরিয়ে আনর চেষ্টা করছেন,ঠিক সেই সময় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী পশ্চিমবঙ্গকে ইসলামিক আগ্রাসনের মুখে ঠেলে দিতে শুরু করেছেন। এমনই অভিযোগ করছে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সমর্থকরা। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর নেতৃত্বে মুসলিম তোষণ চলছে এমন অভিযোগ অনেক আগেই উঠেছে, তবে এই তোষণের মাত্রা ছাড়িয়ে রাজ্য এখন ইসলামিকরণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে। সম্প্রতি হাতীপুকুরের নাম পরিবর্তন করা কে কেন্দ্র করেই এমন অভিযোগ সামনে এসেছে। বারাসাতের হাতিপুকুরের নাম পাল্টে রাখা হয়েছে সিরাজ উদ্যান। হাতিপুকুরের উদ্যনটি জেলা শাসকের পাশে অবস্থিত ছিল।এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই রাজ্যে ইসলামিকরন হচ্ছে এই দাবি আরও জোরাল হয়ে উঠেছে।
তবে শুধু হাতিপুকুরই নয়, এর আগেও হলদিরাম বাসস্ট্যান্ডের নাম পাল্টে হজ হাউস করা হয়েছে, চাঁপাডালি মোড়ের বাসস্ট্পের নাম পাল্টে রাখা হয়েছে তিতুমীর বাসস্ট্যান্ড। দেখাশোনা ও পরিচর্চার অভাবে হাতিপুকুর উদ্যানটি বর্তমানে আবর্জনার স্তূপে পরিণত হয়েছে।
হাতিপুকুরের মৃতপ্রায় অবস্থা এবং জল দূষণের ফলে দুর্গন্ধ ছড়ানোর অভিযোগ সামনে আসার পরই সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহন করা হয়। হাতিপুকুর উদ্যান সংস্কার করার কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৬ সালে। কিন্তু সংস্কার হওয়ার পর হাতিপুকুরের নাম পাল্টে সিরাজ উদ্যান রেখে দেওয়া হয় এবং এই নিয়েই বিরোধ দেখা দেয়।
যদিও কেউ কেউ দাবি করছেন হাতিপুকুরের সাথে নাবাব সিরাজউদ্দৌল্লার কিছু স্মৃতি জড়িত আছে এই কারণে নাম পরিবর্তন করা হয়েছে।অনেকেই দাবি করেন যে সিরাজউদ্দৌল্লা এই পথ দিয়ে যাবার সময় হস্তীবাহিনীকে এখানেই বিশ্রাম দিতেন। অনেকেই আবার দাবি করেন,নবাবের হাতি এই পুকুরেই জল পান করতো কারণে এই হাতীপুকুরের নাম বদলে সিরাজ উদ্যান করা হয়েছে। কিন্তু পুরানো নাম বদলে হটাৎ করে কেন সিরাজ উদ্যান দেওয়া হলো তাই নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।