নিউজ ডেস্ক, রাঁচি – আসামের পর এবার বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর চিন্তা বাড়িয়ে দিয়ে নাগরিক পঞ্জিকরনের পথে হাঁটছে ঝাড়খণ্ড সরকার ।
১২ই আগস্ট ঝাড়খণ্ড সরকারের পক্ষ থেকে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে একথা জানানো হল । ঝাড়খণ্ডের পশ্চিমবঙ্গ লাগোয়া তিনটি জেলা সাঁওতাল পরগনার জামতারা, সাহেবগঞ্জ ও পাকুড়ে সর্বাধিক অনুপ্রবেশকারী রয়েছে বলেই অভিযোগ৷ এই সব এলাকায় এনআরসি লাগু করার দাবি জানানো হয় রাজ্য সরকারের তরফে ।
সূত্রের খবর অনুসারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, ১৯৯৪ সালে প্রায় ১৭ হাজারের বেশি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী শুধুমাত্র সাহেবগঞ্জ জেলায় চিহ্নিত হয়েছিল৷ তৎকালীন জেলা শাসক ভোট দাতাদের তালিকা নতুন করে তৈরি করিয়েছিলেন তাতে এইসব অনুপ্রবেশকারীদের নাম কাটা পড়লেও তাদের ফেরত পাঠানো যায়নি৷
আসামের পর এবার ঝাড়খণ্ড সরকারের পক্ষ থেকে জাতীয় নাগরিক পঞ্জিকরনের জন্য সমস্ত সরকারি প্রক্রিয়া শুরু করার কথা ঘোষণা করার পর এটা যে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর বাংলাদেশী প্রীতির জ্বলন্ত আগুনে ঘি ঢালার কাজ করবে বলে মত প্রকাশ করছেন বিভিন্ন মহল ।