”আমায় ঠিক করে দাও, নইলে মেরে দাও” হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় যন্ত্রণাক্লিষ্ট স্বর মন্দসৌরের ৮ বছরের শিশুর ।
স্কুল থেকে ফেরার পথে তাকে তুলে নিয়ে যায় ইরফান, আসিফরা। পরের দিন সকালে উদ্ধার হয় শিশুটির ক্ষতবিক্ষত অসার দেহ। গণধর্ষণের পর ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার গলায় আঘাত করা হয়েছিল।বিপন্মুক্ত হলেও ছোট্ট শরীর যন্ত্রণা সহ্য করতে পারছে না।
ইঞ্জেকশন দেওয়ার সময় কুঁকড়ে উঠছে শিশুটি। যন্ত্রণাবিদ্ধ শরীরে থেকে অস্ফূটে বেরিয়ে এসেছে ,”মা আমায় ঠিক করে দাও, নইলে মেরে ফেল।” এক সেকেন্ডের জন্যও মাকে ছাড়তে নারাজ সে। চিকিত্সরা জানিয়েছেন, ক্ষত সারতে সময় লাগবে। সংক্রমণ থেকে বাঁচানোই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। সপ্তাহখানেক নজরদারিতে রাখতে হবে ৮ বছরের শিশুটিকে।
মধ্যপ্রদেশের মন্দসৌরে গণধর্ষণের পর নৃশংস অত্যাচারের শিকার হওয়া শিশুর বাবা অভিযুক্তদের মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানালেন। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের পরিবার সরকারের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ চায় না। আমরা চাই এই মামলার আইন প্রক্রিয়া যত দ্রুত সম্ভব সম্পন্ন হোক এবং অপরাধীদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হোক। আমরা টাকা চাই না, শুধু বিচার চাই।’
২৬ জুন স্কুল থেকে ফেরার পথে শিশুটিকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে দুই যুবক। গলা, মুখ, মাথা ও গোপনাঙ্গে গুরুতর আঘাত নিয়ে ইনদওরের মহারাজা যশবন্তরাও হাসপাতালে ভর্তি ছিলো দিব্যা। কিন্তু সবার আশায় জল ঢেলে আমাদের সবাইকে ছেড়ে চলে গেল সে…
নির্যাতিতার পরিবার টাকার বদলে দ্রুত বিচারের দাবি জানালেও, মধ্যপ্রদেশ সরকার ১০ লক্ষ টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মন্দসৌরের কালেক্টর ও পি শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর তহবিল থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা নির্যাতিতার বাবার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এই ঘটনায় দুই অভিযুক্ত ইরফান (২০) ও আসিফকে (২৪) গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে পকসো ও ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। দ্রুত তদন্তের জন্য মন্দসৌরের সিটি পুলিশ সুপার রাকেশ মোহন শুক্লর নেতৃত্বে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করা হয়েছে।
শুক্ল জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই ৭০ শতাংশ তদন্ত সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। নির্যাতিতার স্কুল ব্যাগ, রক্তমাখা ছুরি সহ বিভিন্ন জিনিস উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ সুপার মনোজ কুমার সিংহ জানিয়েছেন, মেয়েটির মায়ের বয়ান নেওয়া হয়েছে।